অনশন তোলার ফর্মুলা খুঁজতে কুণালের কাছে নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, হল বৈঠক

যাঁরা অনশন করছেন তাঁরা জুয়েল (jewel) ছেলে, তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। অনশন তোলার বিষয়টিতে নিঃসন্দেহে কথা বলব, তারই সংকেত হয়তো আজ

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যখন প্রতিদিন ইতিবাচক পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের ক্ষোভের প্রশমনের চেষ্টা চলছে, তখনই চিকিৎসক নেতা নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Dr. Narayan Banerjee) প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করলেন অচলাবস্থা কাটাতে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কলকাতার একটি সংবাদপত্র অফিসে বৈঠকে ইতিবাচক দিক পাওয়া গিয়েছে বলেও ইঙ্গিত দেন দুজনে। লাগাতার অনশন আন্দোলনে (hunger strike) মেধাবী জুনিয়র চিকিৎসকদের (junior doctors) যাতে কোনও ক্ষতি না হয়ে যায়, তার জন্যই এই পদক্ষেপ বলে জানালেন চিকিৎসক নেতা।

রাজনৈতিক প্ররোচনায় অনশন চালিয়ে যাওয়া জুনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে কথা বলতে এসে চিকিৎসক নেতা নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Dr. Narayan Banerjee) অবশ্য দাবি করেন তিনি চিকিৎসক সংগঠনের কোনও পদে নেই। শুধুমাত্র সন্তানসম জুনিয়র চিকিৎসকদের কথা ভেবেই তিনি একটি আলোচনা করেন। সমাধানের রাস্তা চিকিৎসকদেরই বের করতে হবে দাবি করে তিনি জানান, “একজন প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম কিছু জিনিস ক্লিয়ার করার জন্য। সেগুলো আমাদের মধ্যে ভালোভাবেই কথা হয়েছে। মানুষের সঙ্গে মানুষের দেখা হবে কথা হবে মানুষের সেটাই কাজ। সমাধানসূত্র বের করার দায়িত্ব জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তারদের। যাঁরা অনশন করছেন তাঁরা জুয়েল (jewel) ছেলে, তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। অনশন তোলার বিষয়টিতে নিঃসন্দেহে কথা বলব, তারই সংকেত হয়তো আজ।”

অন্যদিকে বারবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে আন্দোলনের পথে যাওয়া বাংলার মানুষদের আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুলে দিয়েছেন সাংবাদিক তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। চিকিৎসকদের অনশন নিয়ে তিনি আগেও উদ্বেগের কথা জানিয়ে এই ধরনের আন্দোলনে প্ররোচনা (instigation) দেওয়া রাজনীতিকদের সমালোচনা করেছেন। সেই পথে সমাধানের পথে এগিয়ে আসা নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে বিস্তারিত কিছু না বললেন কুণাল জানান, “সরকার, মুখ্যমন্ত্রী কেউই চান না তাঁরা জল খেয়ে থাকবেন। সিনিয়র ডাক্তার যারা অভিভাবকের মতো তারা সেটা চাইবেন না। অনেক সিনিয়র ডাক্তার, ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা অনশনটা (hunger strike) চাইছেন না। বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলোর কাঁধে বন্দুক রেখে আন্দোলন চালানো কাজটা ঠিক হচ্ছে না। এর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যদি কেউ চিন্তা করে থাকেন আলোচনা করে থাকেন সেগুলো আমরা সব সময় স্বাগত জানাই।”