Saturday, November 8, 2025

গরিব মানুষই দেশের করদাতা, ধনীরা দিচ্ছে মাত্র ৩ শতাংশ: বলছে সমীক্ষা

Date:

দেশে ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি। বেকরত্বের জ্বালায় জর্জরিত দেশের ৫০ শতাংশ মানুষ। করোনা পরিস্থিতির পরে সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়া সেই নিম্নবিত্ত ভারতীয়ের ঘাড়ে বন্দুক রেখেই যে গোটা দেশের অর্থনীতি চলছে তা স্পষ্ট হল আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফ্যামের রিপোর্টে। ‘সার্ভাইভাল অফ দ্য রিচেস্ট: দ্য ইন্ডিয়া স্টোরি’ (Survival of the Richest: The India Story) শীর্ষক প্রতিবেদনে অক্সফ্যাম (Oxfam) দাবি করেছে, দেশের ৮০ শতাংশ আর্থিক ক্ষমতা যাঁদের হাতে, তাঁরাই মাত্র ৩-৪ শতাংশ জিএসটি (GST) দিচ্ছেন দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে। এমনকি করোনা পরিস্থিতিতে চরম আর্থিক বৈষম্য তৈরি হওয়ার পরেও এর পরিবর্তনের দিকে নজর দেয়নি ভারতের সরকার, দাবি রিপোর্টের।

আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফ্যাম (Oxfam)-এর দাবি, দেশের ৫০ শতাংশ গরিব মানুষ জিএসটি (GST)-র মাধ্যমে দেশের ভাঁড়ারে দিচ্ছেন দুই তৃতীয়াংশ। যা শতাংশের হিসাবে ৬৪.৩ শতাংশ। দুঃখের বিষয় বিভিন্ন পণ্য থেকে পরিষেবার মাধ্যমে সবথেকে বেশি জিএসটি (GST) দেয় দেশের সবথেকে নিম্নবিত্ত ৫০ শতাংশ নাগরিক। যাঁদের হাতে রয়েছে দেশের সম্পদের মাত্র ৪০.৬ শতাংশ। এমনকি মধ্যবিত্তের থেকেও তাঁদের অবদান বেশি।

ব্রিটিশ (British) সংস্থা অক্সফ্যাম ২১টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্মিলিত একটি সংস্থা। মূলত দারিদ্র দূরীকরণ ও আর্থিক সাম্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করে এই সংস্থা। অক্সফ্যামের (Oxfam) রিপোর্টে দাবি, যেখানে দুই তৃতীয়াংশ জিএসটি (GST) বহন করে দেশের দরিদ্র শ্রেণি, সেখানে মধ্যবিত্ত শ্রেণি জিএসটি-র মাধ্যমে ৪০ শতাংশ তুলে দেয় সরকারের ঝুলিতে। তবে সবথেকে হাস্যকর পরিস্থিতিতে দেশের সবথেকে অর্থবান ১০ শতাংশ, যাঁরা জিএসটির মাধ্য়মে সরকারের ভাঁড়ারে দেয় মাত্র ৩-৪ শতাংশ।

দেশের সম্পদের ৮০ শতাংশের বেশি ধারণ করছে বিত্তবান ১০ শতাংশ। অথচ মোদি সরকারের কর ব্যবস্থার এমন কাঠামো যে তাঁদের উপর থেকে করের বোঝা তুলে নিয়ে চাপানো হয়েছে দরিদ্র শ্রেণির উপর। অক্সফ্যামের রিপোর্টে দাবি, দরিদ্র শ্রেণির মানুষ ভারতের কর কাঠামোর কারণে পরোক্ষ কর (indirect tax) জিএসটির মাধ্যমে দিতে বাধ্য। এমনকি ২০২১-২২ সালে জিএসটির মাধ্যমে ভারত সরকার যেখানে ১৪.৭ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল, সেই অনুপাতে ২০২২-২৩ সালে সেই সংগ্রহ ১৮ লক্ষ কোটি টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু ধনবান শ্রেণির (richer class) উপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কর কম থাকায় সেই উপার্জন থেকেও বঞ্চিত হয়েছে দেশ, দাবি সমীক্ষায়।

Related articles

মতুয়া-ফায়দা লোটার চেষ্টা: অনশন মঞ্চে হঠাৎ হাজির বাম-কংগ্রেস!

বাংলার শাসকদল তৃণমূলের বিরোধিতা করাই বাংলার বাম নেতৃত্ব ও কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের স্বভাবসিদ্ধ। বিরোধিতার পর্যায়টা এক এক সময়ে...

জন্মদিনে চরম অসৌজন্য! অভিষেককে নিয়ে বিজেপির পোস্টে সরব নেটদুনিয়া

বাংলায় বরাবর সৌজন্যের রাজনীতি দেখিয়ে এসেছে সব রাজনৈতিক দল। বাম আমলে সিপিআইএম নেতা থেকে তৃণমূল বা কংগ্রেস নেতাদের...

আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা, অনুশীলনই বন্ধ রাখল মোহনবাগান

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে মোহনবাগানের(Mohun Bagan) সিনিয়র দলের অনুশীলন। খবর অনুযায়ী, আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা। টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয়...

জন্মদিনে মানুষের ভালবাসা মনে করিয়ে দেয় কর্তব্য: ভিড়ে মিশে গেলেন অভিষেক

সকাল হওয়ার অপেক্ষা নয়। রাত ১২টা বাজার অপেক্ষায় ছিল বাংলার বিপুল জনতা। জননেতা, তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক...
Exit mobile version