দূরপাল্লার ট্রেনের সফরে বেশিরভাগ যাত্রী এসি কোচে সফর করাকেই প্রাধান্য দেন। সম্প্রতি সেই সব কোচে ধোপদুরস্থ বেডসিটের (bedsheet) সঙ্গে বালিশের কভার (pillow cover) দিয়ে রেলের মান খানিকটা বাঁচানোর চেষ্টা হয়েছে। তবে যে কম্বলকে ভরসা করে এসি কোচে (AC coach) সফর করছেন, জানেন কী সেটা কতটা পরিষ্কার? বা সেটা শেষ কবে পরিষ্কার করা হয়েছিল? সাম্প্রতিক এক আরটিআইয়ের (RTI) উত্তরে রেল যা জানিয়েছে তাতে এসিতে কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর আপনার সাধ মিটে যেতেও পারে।

বেশ কিছু রেলযাত্রী রেলের যাত্রী সুরক্ষা ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বহু ক্ষেত্রে কম্বল বা বালিশ থেকে গন্ধ, এমনকি পোকা বেরোনোর ঘটনায় উঠে এই সব প্রশ্ন। আরটিআই করে তাঁরা জানতে চান এসি-তে ব্যবহার হওয়া বেডসিট, বালিশ ও কম্বল পরিষ্কার রাখতে কী ব্যবস্থা নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। উত্তরে রেলের পরিবেশ ও হাউস কিপিং ম্যানেজমেন্ট (Environment & House Keeping Management) বিভাগের আধিকারিক রিষু গুপ্তা দাবি করেন, রেলের কম্বল (blanket) পরিষ্কার করা হয় মাসে একবার। অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতি হলে দুবার ধোপাখানায় পাঠানো হয় কম্বল।

রেলের পরিষেবাগত দেখভালের দায়িত্ব আইআরসিটিসি-র। যেভাবে আইআরসিটিসি-কে চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করানো হয়। সেভাবেই রেলের ধোপার কাজও হয় চুক্তির ভিত্তিতে। রেলের নিজস্ব বিভাগীয় লন্ড্রি রয়েছে ৪৬টি। বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় লন্ড্রি রয়েছে ২৫টি। তা সত্ত্বেও নিময় করে মাসে মাত্র একবার এসি কোচে ব্যবহার হওয়া কম্বল কাচতে দেওয়া হয়। খুব গুরুতর ক্ষেত্রে বা অভিযোগ পেয়ে রেলকর্মীরা যদি কম্বল থেকে গন্ধ বেরোনোর বিষয়ে নিশ্চিত হন, তবে তা দ্বিতীয়বার কাচতে দেওয়া হয়।

নিরাপত্তা দিয়ে রেল চালানোর বিষয়ে ডাহা ফেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। এবার প্রশ্ন উঠল সাধারণ স্বাস্থ্য বিধি নিয়ে। যাত্রীরা প্রশ্ন তুলেছেন এই পদ্ধতি আদৌ তাঁদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভালো। অথচ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ভারতীয় রেলের এসি কোচের ভাড়া প্লেনের ভাড়ার (plane fare) সমান। সেক্ষেত্রেও এমন পরিষেবা তাঁদের প্রাপ্য কিনা, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। গরিব রথ, দুরন্ত মতো ট্রেনে বেডরোল (bed roll) চাইলে অতিরিক্ত টাকাও দিতে হয়। বিপুল সংখ্যক আরটিআই-এর (RTI) পরে রেলের আধিকারিকরা দাবি করছেন রেল থেকে কম্বল ব্যবস্থাই তুলে দেওয়া উচিত।

