হাই কোর্টের নির্দেশে কাজে যোগ দিতে গিয়েও থ্রেট কালচারের মুখোমুখি হলেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের (R G Kar Medical College) সাসপেন্ড হওয়া চিকিৎসক-পড়ুয়ারা। মঙ্গলবারই ওই চিকিৎসকদের সাসপেন্ডের উপর স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। তার পরে বুধবার কাজে যোগ দিতে গেলে তাঁদের কটাক্ষ-কটূক্তি করেন আর জি কর-এর চিকিৎসক-পড়ুয়াদের একাংশ। আর কাজে যোগদান করা চিকিৎসকদের অভিযোগ, তাঁরাই আসলে থ্রেট কালচারের শিকার। অভিযোগ, বামেদের ছাত্র সংগঠনই মিথ্যে অভিযোগে এঁদের কলেজে থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র করে। হাই কোর্টের রায়ে মুখ পোড়ায়, এখন কলেজে এই চিকিৎসক-পড়ুয়াদের হেনস্থা করছেন।

মঙ্গলবার আরজি করের চিকিৎসক-পড়ুয়াদের সাসপেনশন স্থগিত করে আদালত। চিকিৎসকদের পক্ষের আইনজীবী অর্কপ্রভ সেন এদিন আদালতে বলেন, “কোনও কারণ ছাড়াই সাসপেন্ড করা হয়েছে। অর্ডারে স্পষ্ট নয় যে কেন বহিষ্কার করা হল।” আর জি করের তরফে আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত বলেন, “রিড্রেসাল সেলের প্রধান মুখ্যসচিব। কলেজ শুধু অভিযোগ ওই কমিটির কাছে পাঠাতে পারে। রাজ্যই সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা কাউকে বহিষ্কার করিনি।” এর পরেই রাজ্য সরকারেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্তের ভার দেয়। এদিন সকালে আর জি করে আসেন সাসপেন্ডেড চিকিৎসকরা। প্রথমেই তাঁরা অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে যান। অভিযোগ অধ্যক্ষও তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে চাননি।

এদিকে পিজিবি বিল্ডিংয়ের সামনে জড়ো হন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। সাসপেন্ডেড ছাত্রদের উদ্দেশে কটূক্তি-কটাক্ষ করেন তাঁরা। অভিযুক্ত জুনিয়র চিকিৎসক ডা শিরীষ চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে যে সকল আন্দোলন হচ্ছে সেই সময় বিষয়গুলি প্রচণ্ড ফেক। আমাদের কয়েকজনকে ছাতার তলায় এনে চালানো হয়েছে যে এরা থ্রেট কালচার চালায়। নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ নেই।” অভিযোগ, বাম-পন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা বিরোধীদের কলেজে টিকতে দিতে চান না। সেই কারণেই এই হুমকি। অথচ তাঁরাই আবার থ্রেট কালচার নিয়ে সরব!

আরও পড়ুন- ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রকোপে ফসল নষ্টে মিলবে শস্যবিমা, ঘোষণা কৃষিমন্ত্রীর
