জনমানব শূন্য ওড়িশার সৈকতগুলিতে আছড়ে পড়ছে ঢেউ! ‘ডানা’র আতঙ্কে চলছে নজরদারি

উৎসবের মরশুম চলছে। সামনেই কালীপুজো, ভাইফোঁটার ছুটি। এই সময়টা ভ্রমণ পিপাসু বাঙালিরা ভিড় জমায় সমুদ্র সৈকতগুলিতে (Sea Beaches)। পর্যটকদের চাপে হাঁসফাঁস করেন হোটেল মালিক, গাড়ির ব্যবসায়ীরা। তবে হঠাৎ বদলে গেল সেই চিত্র। খাঁখাঁ করছে পুরীর সৈকত (Puri Sea Beaches)। ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ (Dana) আতঙ্কে এখন পর্যটক শূণ্য সৈকতে শুধুই টেউয়ের গর্জন ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (SDRF)। গোপালপুর, পারাদ্বীপ, চাঁদিপুর ওড়িশার সৈকতগুলিতে (Odisha Sea Beaches) সর্বত্রই একই ছবি।

 

পর্যটকদের (Tourists) নিরাপত্তার কথা ভেবেই সৈকতগুলিকে নো ট্যুরিস্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে পুলিশ প্রশাসন৷ শুধু পর্যটক শূন্যই নয়, সৈকতগুলি কার্যত জনমানবহীন হয়ে পড়েছে৷ সৈকত সংলগ্ন সমস্ত দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে৷ ‘ডানা’র (Dana) তাণ্ডবের আশঙ্কায় জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন ব্যবসায়ীরা৷ সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে সৈকতে, কিন্তু তা উপভোগ করার জন্য দূর দূরান্ত পর্যন্ত চোখে পড়ছে না একজনও পর্যটক৷ ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র (Cyclone Dana) আতঙ্কে এক রাতেই বদলে গেল ওড়িশার সৈকতগুলির চেহারা।

সৈকতে শুধু দেখা মিলছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (SDRF) ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (NDRF)। সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ইতিমধ্যেই সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী প্রচুর মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মাইকিং করা হচ্ছে এলাকায় এলাকায়। ‘ডানা’র (Dana) জেরে সমুদ্রের ঢেউ à§­-à§® ফুট পর্যন্ত উঠতে পারে। ফলে সমুদ্র সৈকতে চলছে কড়া নজরদারি। মঙ্গলবার যাতে পর্যটকরা হোটেল (Hotel) ছেড়ে দেন, সে ব্যাপারে হোটেল মালিকদের নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পর্যটকেরা যাতে কোনও হোটেলেই না-থাকতে পারেন তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তরফে চালানো হচ্ছে অভিযান।

হাওয়া অফিস (Weather Office) জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা উপকূল ধরে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। ওড়িশার (Odisha) ভিতরকণিকাতে ল্যান্ডফল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। আছড়ে পড়ার সময় গতি হতে পারে ১০০-১২০ কিলোমিটার। বর্তমানে ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ‘ডানা’ (Dana)।

আরও পড়ুন- ঘূর্ণিঝড় ডানার সতর্কতায় সকাল থেকে বাবুঘাটে চলছে কলকাতা পুলিশের মাইকিং