ঘূর্ণিঝড় ডানার তেমন বিধ্বংসী প্রভাব পড়ল না কলকাতা ও তৎসংলগ্ন এলাকায়। তবে ঝড়ের প্রভাবে বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকেই ভারী বৃষ্টিতে ভাল শহর কলকাতা।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামরা পোর্ট এলাকায় শুরু হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ডানা’র ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া। শেষ হয়েছে শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটায়। কলকাতায় এই ঝড়ের জেরে ঝোড়ো দমকা হাওয়া আর ভারী থেকে অতি-ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা ছিল। দমকা হাওয়া সেভাবে না হলেও ভোররাত থেকে শুরু হয় বাঁধভাঙা ভারী বৃষ্টি। এদিন বিকেল পর্যন্ত উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ২৫ থেকে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে জল জমেছিল সেন্ট্রাল এভিনিউ, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, কলেজ স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিট এলাকায়। টানা বৃষ্টিতে হলদিরামের কাছে ভিআইপি রোডেও জল জমে। শিয়ালদহ স্টেশনে লাইনেও জল জমেছিল। এমনকি এসএসকেএম, ন্যাশনাল মেডিক্যাল-সহ একাধিক হাসপাতাল চত্বরেও জল ঢুকে যায়। কিন্তু কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোল রুম থেকে রাতভর বিভিন্ন বিভাগীয় আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে শহরে নজরদারি চালান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বৃষ্টি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কাজ শুরু করে দেয় নিকাশি বিভাগের ছোট-বড় ৪৫০টি পাম্প। বিভিন্ন এলাকা থেকে জল টেনে বের করতে চালু করে দেওয়া হয় ৭৯টি নিকাশি পাম্পিং স্টেশনও।