Tuesday, August 26, 2025

আবাসের সমীক্ষায় তথ্য যাচাইয়ে ছাড় পরিযায়ী শ্রমিকদের, সিদ্ধান্ত রাজ্যের

Date:

আবাস যোজনার সমীক্ষা পর্বে তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে পরিয়ায়ী শ্রমিকদের কিছুটা ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। পেশাগত কারণে যারা বাইরে থাকেন তাদের পরিবারের কোনও একজন সদস্য তথ্য যাচাইয়ের সময় উপস্থিতি থাকেলেই বাড়ি তৈরির প্রথম পর্যায়ের টাকা দেওয়া হবে। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের টাকা পাওয়ার আগে সমীক্ষার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলক সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে। নচেৎ দ্বিতীয় পর্যায়ের টাকা দেওয়া হবেনা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উপনির্বাচনের কারণে রাজ্যের ৫টি জেলা বাদে বাকি সব জেলায় আবাস যোজনার চূড়ান্ত পর্যায়ের সমীক্ষা শুরু হয়েছে । এই সমীক্ষার সময়ে তালিকায় নাম থাকা উপভোক্তাদের তাঁদের বর্তমান বাড়ির সামনে শারীরিক উপস্থিতি থাকা বাধ্যতামূলক। কেননা সমীক্ষার সময়ে উপভোক্তার ছবি, তাঁর বাড়ির ছবি সহ পোর্টালে আপলোড করা হচ্ছে। করা হচ্ছে জিও ট্যাগিংও কিন্তু সমীক্ষার শুরু থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি নিয়ে সমস্যা শুরু হয়। যেহেতু তাঁরা কর্মসূত্রে এখন বাইরে রয়েছেন তাই তাঁদের নাম তালিকায় থাকা উপভোক্তা হিসাবে কাটা পড়তে চলেছিল তাঁদের শারীরিক উপস্থিতি না থাকায়। সেই সমস্যার কথা উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে। সেই কথা শুনেই তিনি রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন, আবাসের সমীক্ষার জন্য পরিযায়ী শ্রমিকরা না থাকলেও হবে, শ্রমিকদের কোনো নিকট আত্মীয় থাকলেও হবে। তবে দ্বিতীয় দফার ভেরিফিকেশনের সময়ে তাঁকে থাকতেই হবে, এই নির্দেশ জেলায় জেলায় পৌঁছে দিতে। সেই নির্দেশ মেনেই এদিন থেকে সমীক্ষায় নতুন নিয়ম জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

রাজ্য প্রশাসনের তরফে জেলা প্রশাসনগুলিকে জানানো হয়েছে, আবাস যোজনায় প্রথমবার ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। সেই টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে উপভোক্তার ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক ভাবে করতে হবে। তবে সেই উপভোক্তা যদি পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে থাকে তাহলে তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য ভেরিফিকেশনের সময় থাকলেই হবে। তবে দ্বিতীয় দফায় যখন ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হবে, তখন আবার যে ভেরিফিকেশহবে, সেই সময় ওই পরিযায়ী শ্রমিককে সশরীরে সেখানে থাকতে হবে। সেই সময় ওই পরিযায়ী শ্রমিক না থাকলে আর দ্বিতীয় দফার টাকা মঞ্জুর করা হবে না। নতুন নিয়মে যেখানে উপভোক্তা পরিযায়ী শ্রমিক হওয়ার জন্য বাড়িতে থাকতে পারছেন না সেখানে ওই শ্রমিকের বাবা-মা অথবা স্ত্রী কিংবা স্বামী এবং ছেলে-মেয়ের মধ্যে কোনও একজনের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এদের কারও একজনের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে এবং বলে দেওয়া হচ্ছে, দ্বিতীয় দফার টাকা দেওয়ার আগে যখন আবার ভেরিফিকেশন হবে তখন যেন মূল উপভোক্তা অবশ্যই সেখানে সশরীরে হাজির থাকেন। নাহলে বাকি ৬০ হাজার টাকা আর পাওয়া যাবে না। তবে সেক্ষেত্রে প্রথম দফায় পাওয়া ৬০ হাজার টাকা ফেরত চাওয়া হবে কিনা তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট নয় জেলা প্রশাসনগুলি। কেননা এই নিয়ে কোনও নির্দেশ নবান্ন থেকেও পাঠানো হয়নি। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার নিজ খরচে রাজ্যের প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষকে বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি করে দিতে চলেছে। সেই বাড়ি নির্মাণের প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। সেই সূত্রেই চলছে সমীক্ষার কাজ যে কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন, আর কারা নন।

আরও পড়ুন- মোহন মাঝির রাজ্যে শিকেয় নারী নিরাপত্তা, হবু স্বামীর সামনে গণধর্ষিতা যুবতী!

Related articles

দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যে ডেঙ্গি-উদ্বেগ! টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে আশঙ্কা 

দুর্গোৎসবের মুখে একদিকে নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে ডেঙ্গি সংক্রমণ রাজ্যবাসীর কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে। জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে...

মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী! কিনলেন শাড়ি 

বর্ধমানে প্রশাসনিক সভায় এসে হঠাৎ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হাজির মুখ্যমন্ত্রী। শুধু মহিলাদের হাতের কাজই ঘুরে দেখলেন না, কেনাকাটাও...

ধনধান্যে ভরে, মা এসেছে ঘরে: মুখ্যমন্ত্রীর লেখা-সুরে গান এবার দুর্গাপুজোয়

বাংলা ও বাঙালির বড় উৎসব আর পুজোর গান— এক অপূর্ব মেলবন্ধন। এখন দুর্গাপুজোয় মণ্ডপে মণ্ডপে বাজে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা...

প্রধানমন্ত্রী বাংলা ছাড়তেই জীবনকৃষ্ণের গ্রেফতারি তৃণমূলকে অপদস্থ করার চক্রান্ত, তোপ কুণালের      

ইডির (ED) হাতে জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) গ্রেফতারি আসলে তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) অপদস্থ করার চক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রী বাংলায়...
Exit mobile version