গুটি গুটি পায়ে ‘ডানা’ বিদায়, তবু বৃষ্টি বিপর্যয় কাটবে কি!

সাড়ে ৯ ঘণ্টা ধরে ল্যান্ডফল এবং তার পরবর্তী ১৫ ঘণ্টা ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ শেষে ‘ডানা’ (Dana) বিদায়ের আপডেট দিয়েছে মৌসম ভবন (IMD)। কিন্তু বৃষ্টি থেকে রেহাই মিলবে কি? আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Alipore Weather Department) পূর্বাভাস মতোই শুক্রবার ভোর থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতা তথা দক্ষিণবঙ্গে। সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কায় বাঁধ ভেঙে গিয়েছে সাগরদ্বীপে। জলমগ্ন থেকেছে কলকাতার একাধিক রাস্তা। দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় অঝোর বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। ঘূর্ণিঝড়ের বৃষ্টির জেরে শীত শীত ভাব অনুভূত হতে শুরু করেছে। কিন্তু দুর্যোগ কাটলো কি? হাওয়া অফিস (Alipore Weather Department) জানিয়েছে, শনিবার সকাল পর থেকে আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করবে। দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

ওড়িশায় তাণ্ডব চালাবার পর ঘূর্ণিঝড়ের তকমা হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ‘ডানা’। যার প্রভাব পড়েছে সাড়ে তিনশো কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাংলায়। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে শুক্রবার সারাদিন একনাগারে বৃষ্টি হয়েছে। হাওড়ায় রাস্তার জমা জলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ বছরের এক ব্যক্তির। শহর কলকাতার ভবানীপুরের জাস্টিস দ্বারকানাথ রোডে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ভিন রাজ্যের এক যুবকের মৃত্যুর খবর এসেছে। হুগলির বিস্তীর্ণ চাষের জমিতে ক্ষতিগ্রস্ত ধান, আশঙ্কায় আলু চাষ। এইসব কাটিয়ে উঠে শনিবার থেকেই আবহাওয়ার বদল আশা করছেন সাধারণ মানুষ। শনিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। হাওয়া অফিস (Weather Department) বলছে আজ সারাদিন বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও এখনই নিম্নচাপের বিদায় সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। উত্তরের পাঁচ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। দক্ষিণবঙ্গের জন্য বড় কোনও সতর্কতা আপাতত নেই।