বাংলায় ফের অনুু্প্রবেশ তত্ত্ব তুলে ধরার চেষ্টা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর (Minister of Home and Affairs)। যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপর দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব সেই দফতরের প্রধান হয়েও কীভাবে বাংলায় অনুপ্রবেশ বা তা নিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কোনও নতুন বার্তা দিতে পারলেন না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্যকে কার্যত ‘আত্মঘাতী গোল’ (same side goal) কটাক্ষ প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষের।

রবিবার বনগাঁ সীমান্তের পেট্রাপোলে (Petrapole) কেন্দ্রীয় স্থলবন্দর মন্ত্রকের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলায় অনুপ্রবেশকে (border infiltration) হাতিয়ার করার চেষ্টা করেন অমিত শাহ। তাঁর দাবি বেআইনি অনুপ্রবেশ রাজ্য তথা দেশের অশান্তির কারণ। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশ সমস্যার সমাধান হবে, দাবি অমিতের।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এই দাবির পরে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসকদল। কুণাল ঘোষের দাবি, “যদি অনুপ্রবেশের কথা অমিত শাহ বলেন তাহলে সেটা আত্মঘাতী গোল। অনুপ্রবেশ সীমান্তের সমস্যা। সেটা পাহারা দেয় অমিত শাহর বিএসএফ (BSF)। রাজ্য পুলিশ বা কলকাতা পুলিশের জায়গা ওটা নয়। অমিত শাহ যদি বলেন অনুপ্রবেশ হয়েছে তাহলে তো সেটা কেন্দ্র সরকার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, বিএসএফ (BSF), সীমান্ত রক্ষায় যে যে কেন্দ্রীয় এজেন্সি কাজ করে এটা তাদের ব্যর্থতা।”

এদিন বাংলাদেশের (Bangladesh) সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়েও মুখ খোলেননি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। অনুপ্রবেশ নিয়ে আদৌ দুই দেশের মধ্যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া নিয়েও কোনও ইঙ্গিত নেই অমিত শাহর বক্তব্যে। তারপরেও ২০২৬-এ বাংলায় অনুপ্রবেশ আটকানোর দাবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর। যা নিয়ে কটাক্ষ তৃণমূল নেতা কুণালের। বিএসএফের (BSF) ক্ষমতা ৫০ কিমি বাড়িয়ে দেওয়ার পরেও কেন অনুপ্রবেশ আটকানো সম্ভব হয়নি, প্রশ্ন তোলেন তিনি।
