WBJDA তৈরি হতেই হয়ত আত্মবিশ্বাস টলে গিয়েছে WBJDF-এর। কারণ, শনিবার West Bengal Junior Doctors’ Association আত্মপ্রকাশ করা পরেই জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে কিঞ্জল নন্দ (Kinjal Nanda) বলেন, মানুষের কাছে সময় এসেছে পক্ষ নেওয়ার। এই কথার পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ল WBJDA। একটি ভিডিও বার্তায় কিঞ্জলের শ্বশুর ডাঃ প্রসন্নকুমার ভট্টাচার্যের (Prasanna Kumar Bhattacharya) বিরুদ্ধে মহিলা রোগীকে হেনস্থার যে অভিযোগ ওঠে, সেই প্রসঙ্গ তুলে জানতে চাওয়া হয় জুনিয়র ডাক্তারের আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকা কিঞ্জল এখন কোন পক্ষে?
২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর প্রসন্ন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরই রোগিনী। গড়িয়াহাট থানায় IPC 354-এর অধীন রুবি পার্ক ইস্ট, কসবার বাসিন্দা ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তাঁর ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে হেনস্থার অভিযোগ করেন ওই রোগিনী। পরের বছর অক্টোবর মাসের ৮ তারিখ ডাঃ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আলিপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়।
WBJDA পোস্ট করা ভিডিও-তে জানতে চাওয়া হয়েছে, কিঞ্জল কার পক্ষে- নিজের শ্বশুরের না কি ওই নির্যাতিতার? জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, তারা তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তারা সব রকম অপসংস্কৃতি, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে। কিন্তু জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের অবস্থান কী? যেখানে তাদের সংগঠনের অন্যতম মুখ কিঞ্জলের শ্বশুর নিজেই নারী নিগ্রহে অভিযুক্ত, সেখানে তাদের দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা কোথায়- প্রশ্ন তুলল WBJDA।