রাজ্যে মুরগির মাংসের চাহিদা মেটাতে অত্যাধুনিক মানের উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। নেদারল্যান্ডস থেকে আনা যন্ত্রপাতিতে সুসজ্জিত প্রায় ৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে নদিয়ার কল্যাণীতে এই প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রটি তৈরি করা হচ্ছে বলে রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর সূত্রে জানা গেছে। ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যেই এই কারখানা তৈরি হয়ে যাবে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা হরিণঘাটা মিটের বিপণি থেকে উন্নত গুণমানের এই মাংস বিক্রি করা হবে। বর্তমানে রাজ্য সরকারের হাতে মোট দু’টি মুরগির মাংস প্রক্রিয়াকরণের কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটিতে রোজ গড়ে ১৫ হাজার মুরগির মাংস প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রির জন্য তৈরি করা হয়। সেখানে নতুন কেন্দ্রটি তৈরি হলে সেখানে প্রতিদিন গড়ে ৩০ হাজার মুরগির মাংস প্রক্রিয়া করা যাবে। এর ফলে রাজ্যে মুরগির মাংসের জোগান অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের বাইরেও প্রসেসড চিকেন পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন দফতর।

রাজ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের মানোন্নয়নের জন্য
২০২০-২১ সালের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে রাজ্য প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন দফতর এবং নেদারল্যান্ডসের শিল্প সংস্থাগুলির মধ্যে একটি ‘মউ’ স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তারই অঙ্গ হিসেবে রাজ্যে চিকেন প্রসেসিং প্ল্যান্ট তৈরিতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করছে নেদারল্যান্ডস। এর পাশাপাশি মুরগির উৎপাদন বাড়াতে ‘ব্রয়লার ইন্টিগ্রেশন প্রোগ্রাম’ চালু করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে চাষীদের সহযোগিতা নিয়ে ব্রয়লার মুরগি চাষ করা হচ্ছে। চাষীদের মুরগির বাচ্চা, টিকা, ওষুধপত্র সমস্তটাই জোগান দিচ্ছে সরকার। বড় হলেই সেই মুরগি চলে যাচ্ছে সরকারি প্লান্টে। চাষীরা শুধুমাত্র সরকারের হয়ে তাঁর নিজের ফার্মে মুরগি প্রতিপালন করছেন। তার বিনিময়ে সরকারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক পান চাষীরা। এর ফলে একদিকে যেমন প্রান্তিক চাষীরা মুরগি প্রতিপালন করে অর্থ রোজগার করছেন, তেমনই সামান্য বিনিয়োগ করে রাজ্যে ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন বাড়াতে পারছে সরকার। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ১৪টি জেলায় এই প্রকল্প চালু হয়েছে।

আরও পড়ুন- বিধানসভা উপনির্বাচন: কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কোনও অভিযোগ বরদাস্ত নয়, বার্তা কমিশনের
