একসঙ্গে মৃত্যু ৭ হাতির! কারণ নিয়ে অন্ধকারে মধ্যপ্রদেশ প্রশাসন

খিতাউলি এলাকায় প্রথমে ২টি হাতির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বনকর্মীরা। পরে ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে আরও ৫টি হাতিকে অসুস্থ অবস্থায়

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক স্তরের সমীক্ষায় প্রকাশিত, ভারতে প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণের সংরক্ষণ একেবারে নিম্ন স্তরে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১৭৬ তম স্থানে। রাতারাতিই সেই নিম্নগামী রক্ষণাবেক্ষণের উদাহরণ মিলল। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে (Madhyapradesh) দেশের অন্যতম ব্যাঘ্র প্রকল্পে একসঙ্গে মৃত্যু হল ৭ হাতির (elephants)। আশঙ্কা করা হচ্ছে আরও হাতির মৃতদেহ পাওয়া যেতে পারে।

মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ অভয়ারণ্যে (Bandhavgarh Tiger Reserve) এখনও পর্যন্ত ৭টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বান্ধবগড় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ অভয়ারণ্যের খিতাউলি এলাকায় প্রথমে ২টি হাতির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বনকর্মীরা। পরে ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে আরও ৫টি হাতিকে অসুস্থ অবস্থায় এবং দুটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপরই অসুস্থ হাতিগুলিকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন বনকর্মীরা। তবে শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসা চলাকালীন আজ, বুধবার ওই ৫টি হাতির মধ্যে আরও ৩টির মৃত্যু হয়েছে।

বনকর্মীদের কথায়, সেখানে ছিল মোট ১৩টি হাতির দল। বাকিগুলি কোথায় গিয়েছে তার খোঁজ চলছে। একইসঙ্গে কীভাবে একাধিক হাতির মৃত্যু হল তার তদন্ত শুরু হয়েছে। জব্বলপুরে পশুচিকিৎসকরা এসে মৃত হাতিগুলির দেহ ময়নাতদন্ত করছেন। বনকর্মীদের প্রাথমিক অনুমান, ওই অভয়ারণ্যের বাইরে বিঘের পর বিঘা চাষের জমি রয়েছে। যেখানে কৃষকরা চাষ করেন। কৃষকরা ফসলে কীটনাশক (pesticide) ব্যবহার করেছিলেন। সম্ভবত সেই ফসল খেয়েই মৃত্যু হয়েছে হাতিগুলির নাকি অভয়ারণ্যের বাইরে বেরিয়ে অন্যকিছু খেয়েছিল তাতেই কি মৃত্যু ঘটেছে নাকি তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বন দফতরের সঙ্গে মধ্যপ্রদেশ প্রশাসনও এই ঘটনার পরে নড়েচড়ে বসেছে। বাস্তবে কীটনাশকের কারণে হাতিগুলির মৃত্যু হলে সেই কীটনাশকের প্রভাব কতটা ভয়ঙ্কর, তা নিয়ে আশঙ্কায় প্রশাসন।