শব্দবাজি রুখতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ! রেহাই নেই সাধারণ মানুষের

স্বাভাবিকভাবেই শব্দবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। কারণ , মায়ের হৃদরোগ, ধোঁয়ায় কষ্ট পাচ্ছেন স্ত্রী। শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদের জেরে আনন্দ পালিত রোডে গুরুতর জখম এক ব্যক্তি। অভিযোগ , তাকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে একদল যুবক বেধড়ক মারধর করে । এন্টালি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, জখম সায়ন কুণ্ডু কলকাতার এন্টালি থানার আনন্দ পালিত রোডের বাসিন্দা। তার মা খুকুমণি কুণ্ড, হৃদরোগে আক্রান্ত। বাজির ধোঁয়ায় শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার স্ত্রী। তাই শব্দবাজি ফাটাতে নিষেধ করেন সায়ন। তা নিয়েই বচসা শুরু হয় । অভিযোগ, ১৫-২০ জন যুবক ইট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এই ঘটনায় এন্টালি(Entally) থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আজাদগড়েও ঘটেছে একই কাণ্ড। আক্রান্ত সঞ্জয় ভট্টাচার্যর বাড়িতে কাকা অসুস্থ। তাই শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করেন তিনি। অভিযোগ, প্রতিবাদ করায় একদল দুষ্কৃতী তাকে বেধড়ক মারধর করে।

কালীপ্রতিমা বিসর্জনের সময় বাজি ফাটানোকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লেকটাউনও। রবিবার গভীর রাতে দক্ষিণদাড়ির দেবীঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন চলছিল। সেই সময় বাজি ফাটানোকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয়। পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ।
লেকটাউনের সেই বিসর্জন ঘাটেই মহিলাকে কটূক্তি এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কালীপুজোর আলো খোলা নিয়ে কয়েক জন স্থানীয় যুবকের সঙ্গে মহিলা এবং তাঁর স্বামীর বচসা বাধে। অভিযুক্তেরা সকলেই মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে জানিয়েছেন মহিলা। তাকে কটূক্তি করা হলে মহিলার স্বামী তাতে বাধা দেন। কিন্তু তখন তাকেও মারধর করা হয়। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে মার খান ওই মহিলাও। তার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।