বাংলা সম্প্রতির জায়গা: ‘মিনি ইন্ডিয়া’ পোস্তা-বড়বাজারের পুজো উদ্বোধনে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

প্রতি বছরের মতো এবারও পোস্তা বাজারে জগদ্ধাত্রীপুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর বাঙালির থেকে বেশি অবাঙালি অধ্যুষিত বড়বাজার এলাকাকে ‘মিনি ইন্ডিয়া’ (Mini India) বলে সম্বোধন করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে, পশ্চিমবঙ্গ যে জাত-ধর্ম-ভাষার উর্ধ্বে উঠে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চলে সে কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। তাঁর কথায়, “এই এলাকা তো মিনি ইন্ডিয়া । কিন্তু আপনারা কী খান, কী পরেন, আপনার জাত কী, ধর্ম কী- এসব নিয়ে তো আমরা কখনও প্রশ্ন করি না। বাংলা এমন জায়গা যেখানে সকলে মিলেমিশে থাকতে পারে।”


এদিন পোস্তায় জগদ্ধাত্রীপুজোর উদ্বোধনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরের পুজোর ভার্চুয়াল (Virtual) উদ্বোধন করেন তিনি। বলেন, “আমি প্রতিবার পোস্তা বাজারে জগদ্ধাত্রী পুজোয় উদ্বোধনে আসি। আমি মনে করি আমাকে মা এখানে ডেকে নিয়ে আসে। চন্দননগরের একাধিক পুজো দেখলাম এখান থেকে। আপনাদের পুজো ভাল হয়েছে। পুজো আপনাদের সকলের ভাল কাটুক। ভদ্রেশ্বর ও চন্দননগরের মোট ১০টি পুজো আজ ভার্চুয়াল আমরা উদ্বোধন করলাম।”

অবাঙালি প্রধান এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, বাংলাকে নিজের বাড়ি ভাবুন। তাঁর কথায়, “এই এলাকা বহুভাষাভাষীদের। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এখানে থাকেন। এখানে কে কী খাবে, কে কী পড়বে, কে কী বলবে এই নিয়ে জাতিগত সমস্যা হয়নি। মানবিকতা আসলে মানবিকতাই হয়। আপনারা আমাদের ভাই-বোন। বাংলায় থেকে বাংলাকে নিজের ঘর ভাবুন। নিজের না ভাবলে হবে কী করে।”

মমতা (Mamata Banerjee) মনে করিয়ে দেন, শুধু ভোট বা উৎসবে নয়, সারা বছরই মানুষের পাশে থাকে তৃণমূল সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “এটা তো মানবেন আমি শুধু ভোটের জন্য এখানে আসি না। এখানকার ৩টে সিটে বিজেপিই জেতে। ওটা কথা নয়। কিন্তু আমরা ৩৬৫ দিন মানুষের পাশে থাকি।”

নাম না করে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন মমতা। গেরুয়া  শিবিরকে কোকিলের সঙ্গে তুলনা করে মমতা বলেন, “কোকিল কুহু কুহু করে চলে যায়। কাক রোজ আসে। কাকের ডাক পছন্দ নাও হতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন, কাকই কিন্তু প্রতিদিন আসে!” কোভিডের সময় বন্ধ পোস্তা বাজারকে তিনিই ধীরে ধীরে খুলিয়ে ছিলেন- এদিন সেই প্রসঙ্গের উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েও তিনি প্রতিটি দিকে নজর রাখেন- মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে জানায় পোস্তা বাজার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।