বঙ্গবন্ধু বাদ, পড়ে থাকছে শুধুই বঙ্গভবন ! স্কুল পাঠ্যক্রমে এবার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে আরবি

মাধ্যমিক স্তরে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত আরবি পড়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে

মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে আংলাদেশের সংস্কৃতি আমূল বদলে ফেলার চেষ্টা শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই লক্ষ্যে স্কুল পাঠ্যক্রম থেকে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানকে। স্কুল পাঠ্যক্রমে থাকছে শুধুই বঙ্গভবন। আর অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে আরবি ভাষাকে। সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বা এনসিটিবিকে এমনই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দেশের স্কুল পাঠ্যসূচিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা’ অনুসারী করতে হবে।

মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশ অনুসারে মাধ্যমিক স্তরে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত আরবি পড়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়েও পাঠ্যপুস্তকে আনা হচ্ছে পরিবর্তন। সেই পরিবর্তনের অঙ্গ হিসাবে বাংলা পাঠ্যবই থেকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া হচ্ছে ৪ জন লেখকের রচনা। তার মধ্যে এক জন হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষা আন্দোলন নিয়ে তাঁর রচনা ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাঠ্যবই থেকে। নতুন বছর থেকেই তা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের নতুন সরকার মুজিউবের কোনও চিহ্ন রাখতে চাইছে না। তাই পাঠ্যপুস্তক থেকে তাঁকে বাদ দেওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবন-এর দরবার কক্ষ থেকেও বঙ্গবন্ধুর ছবি খুলে নেওয়া হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক মাহফুজ আলম ফেসবুকে পোস্টে সে কথা জানান। তাঁর পোস্টে শেখ মুজিবুর রহমানকে ’৭১ পরবর্তী ফ্যাসিবাদী নেতা হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। ৫ আগস্ট অন্তর্বতী সরকার আসার পর বঙ্গভবন থেকে তাঁর ছবি সরাতে এতদিন দেরি হওয়ায় তিনি আবার ক্ষমা প্রার্থনাও করেন ফেসবুকে।
ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশ মেনে শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, আলিম-ওলামাদের পরামর্শ মেনে মাধ্যমিক স্তরে আরবি ভাষা অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। উচ্চমাধ্যমিকে বাংলা পাঠ্যবই থেকে চার জন লেখকের লেখা প্রবন্ধ ও কবিতা বাদ দেওয়া হচ্ছে। শেখ মুজিব, মহম্মদ জাফর ইকবাল, মহাদেব সাহার কবিতা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। আর এক জন লেখককে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিবেচনাধীন রাখা হয়েছে, নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।