রাত পোহালেই ভোট বাংলার ৬ কেন্দ্রে। উত্তর ২৪ পরগনার দুই কেন্দ্র নৈহাটি ও হাড়োয়া থেকে শুরু করে উত্তরের দুই কেন্দ্র মাদারহাট ও সিতাই এবং মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ার তালডাংরায় ভোট ব্যস্ততা চরমে।

রাজ্যের ৬ বিধানসভার সঙ্গে বুধবার সকাল ৭টায় শুরু হচ্ছে মেদিনীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ। উল্লেখ্য, মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে এবার প্রায় ২ লক্ষ ৯২ হাজার ভোটার রয়েছেন। ভোটগ্রহণের জন্য প্রায় ১৮০০ কর্মী নিযোগ করেছে নির্বাচন কমিশন। আছেন মহিলা ভোটকর্মীরাও।

উত্তর ২৪ পরগনার দু’টি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের সমস্ত ব্যবস্থাই সারা। হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ২,৬৯,১০৩ জন। তার মধ্যে ১,৩৮,৭০৫ পুরুষ, ১,৩০,৩৯৩ জন মহিলা, ৫ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার। মোট ভোটারের মধ্যে ১৮-১৯ বছরের ভোটারের সংখ্যা ২২৫৮ জন এবং ৮৫ বছরের বেশি বয়সের ভোটারের সংখা ১২৩৯ জন। অক্সিলারি সহ মোট বুথের সংখ্যা ২৭৯টি। নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের মোট ভোটার সংখ্যা ১,৯৩,৮৩৪ জন। তার মধ্যে পুরুষ ৯৬,০৭৪ জন, ৯৭,৭৫২ জন মহিলা এবং ৮ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার। মোট ভোটারের মধ্যে ১৮-১৯ বছরের ভোটারের সংখ্যা ১৭৪৫ জন এবং ৮৫ বছরের বেশি বয়সের ভোটারের সংখা ৮২৭ জন। অক্সিলারি সহ মোট বুথের সংখ্যা ২১০টি।

উত্তরের দু’টি কেন্দ্র সিতাই ও মাদারিহাট। কোচবিহার সিতাই বিধানসভা উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র আছে ৩০০ টি। ভোট কর্মী আছেন ১৫৬০ জন। এরমধ্যে রিজার্ভে আছেন ৩৬০ জন। সিতাই বিধানসভায় ভোটার আছেন ৩ লক্ষ ৫ হাজার ৫০০ জন। যার মধ্যে পুরুষ ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৪২১ জন ,মহিলা ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৯ জন ,ও প্রতিবন্ধী ভোটার আছেন ১৮৮১ জন। এরমধ্যে প্রবীণ নাগরিক ১৫০২ জন। নতুন ভোটার আছেন ৫৭৫৪ জন সিতাই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে ১৮ কোম্পানি ও রাজ্য পুলিশ মোতায়েন থাকবে ৯০০ জন।

বাঁকুড়ার তালডাংরা কেন্দ্রের তৃণমূল-সহ মোট পাঁচ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ২ লক্ষ ৪১ হাজার ৪৯৭ ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ও মহিলা ভোটার যথাক্রমে ১ লক্ষ ২২ হাজার ৫০৯ ও ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৯৮৮ জন। মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ২৬৪, সেক্টর সংখ্যা ৩১। জেলাশাসক সিয়াদ এন জানিয়েছেন, ১০০ শতাংশ কেন্দ্রেই ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকছে। ১ হাজার ২৬৮ জন ভোটকর্মী ভোটগ্রহণে নিযুক্ত থাকছেন বলে জানা গিয়েছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে। ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।

আরও পড়ুন- মেয়াদ বাড়তে পারে জেপিসির! ওয়াকফ নিয়ে প্রবল চাপে মোদি সরকার