বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে একাধিকবার বিবৃতি দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। শেখ হাসিনার সরকার নিয়ে তাদের অসন্তোষের কথা প্রকাশ পেয়েছে সেই বার্তায়।পালা বদলের পর মহম্মদ ইউনুসকে স্বাগত জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। তার সরকারকে সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিল আমেরিকা।যদিও ইউনুসের সরকারের ১০০ দিনের পর পরিস্থিতি বদলেছে।এবার বাংলাদেশ স্পষ্ট জানিয়ে দিল, সরকারের দমনমূলক নীতিকে কোনও মতেই সমর্থন করে না তারা।গতকাল মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার জানিয়েছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচার এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে যদি সরকারি মদতে দমন করা হয়, তাহলে তা কোনও ভাবেই সমর্থন করবে না আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে নমনীয় হতে আবেদন জানান ম্যাথু মিলার।

প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর বাংলাদেশের এক স্থানীয় ব্যবসায়ী ওসমান আলি ফেসবুকে ইসকনকে ‘জঙ্গি সংগঠনের’ তকমা দেন। তার এই পোস্ট দেখে ক্ষুব্ধ হয় চট্টগ্রামের হিন্দুরা। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ, সেনা পৌঁছয় চট্টগ্রামের হাজারি গলি এলাকায়। চট্টগ্রামের হিন্দু অধ্যুষিত ওই এলাকা থেকে প্রায় ১০০ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই আবহে সেনার বিরুদ্ধে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ তোলা হয়। এই নিয়ে এক সিসিটিভি ফুটেজও সামনে আসে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি বিস্ব বাংলা সংবাদ)। সেখানে দেখা যায় বাংলাদেশ সেনার জওয়ানরা নিজেরাই খালি রাস্তায় তাণ্ডব চালাচ্ছেন।পূর্ববর্তী সরকারের পতনের পর শুরু হওয়া দাঙ্গায় অনেক হিন্দুদের দোকানপাট, বাড়িঘর এবং মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছিল। আওয়ামি লিগের দুই হিন্দু নেতা সহ বহু হিন্দুদের খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।

এরই পাশাপাশি অভিযোগ ওঠে, উচ্চপদস্থ হিন্দু আমলা এবং পুলিশদের জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে। বহু হিন্দু শিক্ষককেও জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েচে বলে অভিযোগ ওঠে। দুর্গাপুজোর সময় জায়গায় জায়গায় প্রতিমা ভাঙার ঘটনা ঘটেছিল বলেও অভিযোগ উঠেছিল।
