কাটিহার এক্সপ্রেসে উদ্ধার তবলা শিক্ষকের ক্ষতবিক্ষত দেহ, রেলে যাত্রী নিরাপত্তা কোথায়?

নিমন্ত্রণ বাড়ি থেকে ফেরার পথে ট্রেনেই ধারালো অস্ত্রের কোপে মৃত্যু বালি ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের (Soumitra Chattopadhyay)। রেলে নিরাপত্তারক্ষীরা কোথায় ছিলেন, প্রশ্ন তুলছে মৃতের পরিবার। সোমবার বিহারের একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বিশেষভাবে সক্ষম ওই ব্যক্তি। পেশায় তিনি তবলা শিক্ষক। মঙ্গলবার সকালে কাটিহারএক্সপ্রেসে (Katihar Express) করে ফিরছিলেন। ট্রেন যাত্রা শুরু করার সময় বাড়িতে ফোন করেছিলেন কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। মঙ্গলবার ট্রেন হাওড়া স্টেশন (Howrah) ঢুকতেই বিশেষভাবে সংরক্ষিত কামরা থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়। পরিচয় পত্র এবং টিকিট না থাকায় শনাক্তকরণে দেরি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে খবর মিলেছে।

মৃতের ছেলে অর্ক চট্টোপাধ্যায় রেলের নিরাপত্তার দিকে আঙুল তুলে অভিযোগ করেছেন যে, বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য সংরক্ষিত কামরায় একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট বা আরপিএফ থাকার কথা। তিনি যদি থাকতেন তাহলে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের এই পরিণতি হত না। এই ঘটনায় যাত্রী নিরাপত্তায় রেলের গাফিলতি এবং ব্যর্থতার ছবিটা আরও স্পষ্ট হয়ে গেল। পরিবার সূত্রে জানা যায় তবলা শিক্ষকের বুকে পেটে তিন জায়গায় ছুরির আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হাওড়া জেলা পুলিশ এবং কাটিহার পুলিশ একসঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে। পুরনো কোনও শত্রুতার জেরে এই ঘটনা নাকি ট্রেনে দুষ্কৃতী দৌরাত্মের ফলে শিক্ষকের মৃত্যু তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।