বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে। এবার ময়দানে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথা বুদ্ধিজীবী তথাগত রায়। বিতর্কিত মন্তব্য করাটা তিনি করায়ত্ত করেছেন। কামিনী-কাঞ্চন থেকে CAA-তে নাগরিকত্ব দেওয়ার আগে পুরুষদের গোপনাঙ্গ পরীক্ষার পরামর্শ – নানা সময়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এসেছেন।

এবার তার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট, রাজ্য সভাপতি হওয়ার ক্ষেত্রে সুকান্ত মজুমদার বা দিলীপ ঘোষ নন, যোগ্যতম শুভেন্দু অধিকারীই। তার মানে একটা জিনিস স্পষ্ট গদ্দার শুভেন্দুকেই সভাপতি পদে চাইছেন তথাগত। যদিও অনেকের মন্তব্য, বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ ঘোষের অবদান অস্বীকার করা যায় না।
আসলে বাংলায় শত চেষ্টা করেও সংগঠন তেমন মজবুত করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। একের পর এক নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। রাজ্য নেতৃত্বে রদবদল এনেও ছবিটা পাল্টায়নি। এবার দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ, এক কোটি পূরণ করতে হবে সদস্য সংখ্যা। তাই শুরু হয়েছে সদস্য সংগ্রহ অভিযান।

বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায় ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, রাজ্য সভাপতি হিসেবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীই যোগ্যতম। তার স্বপক্ষে তার যুক্তি, শুভেন্দু স্বয়ং মমতাকে হারিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, শুভেন্দুর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা সুকান্ত এবং দিলীপের চাইতে অনেক দীর্ঘ। ২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম আন্দোলন দিয়ে তাঁর হাতেখড়ি। তৃতীয়ত, শুভেন্দু যেরকম স্পষ্ট ভাষায় মমতাকে আক্রমণ করেন, হিন্দু একীকরণের কথা বলেন, এবং রাজ্য চষে বেড়ান, সেরকম অন্য কেউই পারেন না বা করেন না। সংস্কার ঠিকই আছে, কিন্তু ব্যবহারিক রাজনীতিতে এর স্থান সীমিত। সুতরাং, দোষগুণ বিচার করে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিকে নেতৃত্ব দেবার জন্য যোগ্যতর আর কেউ নেই।

এই মুহূর্তে বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদে আছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। এই পরিস্থিতিতে তার দায়িত্ব কমাতে কোনও রদবদলের সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিজেপি। সময়ই বলবে বর্ষীয়ান নেতার এই প্রস্তাব কতটা গ্রহণ করে শীর্ষ নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন- অভিষেকের আপ্তসহায়কের নাম করে টাকা আদায়! গ্রেফতার অভিযুক্ত
