আক্রান্তরাই গ্রেফতার! বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলায় ফের সরব ব্রিটেন

মৌলবাদীদের (fanatic) হাতে আক্রান্ত হওয়া সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ যারা হামলা চালিয়েছে তাদের গ্রেফতারির পথে যায়নি বাংলাদেশ

বাংলাদেশের অশান্তির ঘটনায় ফের হস্তক্ষেপের দাবি উঠল ব্রিটিশ পার্লামেন্টে (British Parliament)। একের পর এক ব্রিটিশ সাংসদরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনার নিন্দাতেই শুধু থেমে থাকেননি। তাঁরা দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের (interim government) সঙ্গে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আলোচনার। প্রয়োজনে বাংলাদেশ সম্পর্কিত অন্য দেশের সঙ্গে আলোচনারও প্রস্তাব রাখেন তাঁরা। লেবার পার্টি (Labour party) ও কনসার্ভেটিভ পার্টি (Conservative party) – দুদলের সাংসদরাই সরব হন ধর্মের ভিত্তিতে হামলার ঘটনায়।

লেবার পার্টির সাংসদ ব্যারি গার্ডিনার (Barry Gardiner) দাবি করেন, অগাস্ট মাসে পুরোনো সরকারের পতনের পরে সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের (religious minority) মানুষের উপর অন্তত ২০০০ আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনায় সাংসদের নিশানায় জামাত-ই-ইসলামিকেই (Jamat-e-Islam) দায়ি করেছেন গার্ডিনার। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, বহু সংখ্যালঘু পরিবার বা ধর্মস্থানের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে কোনও প্রতিরোধ গড়ে না তুলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস (Chinmay Krishna Das) ও সাংবাদিক মুন্নি সাহার (Munni Saha) গ্রেফতারির প্রসঙ্গেও মারাত্মক অভিযোগ তোলেন গার্ডিনার। তাঁর দাবি, দর্শক হয়ে অপেক্ষা করা প্রশাসনের সামনে প্রতিবাদে সামিল হওয়া সন্ন্যাসীকে গ্রেফতার হতে হয়েছে। মৌলবাদীদের (fanatic) হাতে আক্রান্ত হওয়া সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ যারা হামলা চালিয়েছে তাদের গ্রেফতারির পথে যায়নি বাংলাদেশ প্রশাসন।

অন্যদিকে কনসার্ভেটিভ পার্টির সাংসদ প্রীতি প্যাটেল (Priti Patel) সরকারের কাছে দাবি করেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথাবার্তায় কোন পথে শান্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ব্রিটেনের তরফ থেকে জানানোর। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, ধর্মের ভিত্তিতে যে হামলার ঘটনা বাংলাদেশে ঘটছে তার সমাপ্তি দ্রুত হওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের বহু নাগরিক ইংল্যান্ডে বসবাস করেন, যাঁদের পরিবার বাংলাদেশেই রয়েছে। তাঁদের প্রতি দায়িত্ব থেকে সরে আসতে পারে না ব্রিটিশ সরকার (British Government), দাবি সাংসদদের। সেই সঙ্গে ইসকনের মতো বিশ্বব্যাপীর বিস্তৃত সংগঠনের সদস্যদের উপর হামলার বিরোধিতাও করেন তাঁরা।

সাংসদদের প্রশ্নের উত্তরে ব্রিটিশ সচিব ক্যাথেরিন ওয়েস্ট (Catherine West) আশ্বস্ত করেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। সেক্ষেত্রে পরবর্তী সব পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে ইংল্যান্ড। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশেই যে ব্রিটিশ সরকার রয়েছে, সেই বিষয়েও আশ্বস্ত করা হয়। তবে সম্প্রতি মৌলবাদী ধর্মীয় সংগঠনের হামলার ঘটনায় ইংল্যান্ডের ইতিহাসে আতঙ্ক তৈরি করা পরিবেশ দেখেছেন ব্রিটিশরা। ফলত, বাংলাদেশে ধর্মীয় পরিস্থিতি অস্থির হওয়ায় সতর্ক পা ফেলতে চায় ব্রিটিশ সরকার।