বাংলাদেশে গণহত্যায় মদত দিচ্ছেন ইউনুস, অভিযোগ হাসিনার

এইভাবে গণহত্যা চালিয়ে গেলে এই আওয়ামি লিগের সরকার বেশিদিন টিকবে না

ছাত্র নেতাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশে গণহত্যায় মদত দিচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। তিনিই বাংলাদেশে গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড, এমনটাই দাবি করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমেরিকার নিউইয়র্কে আওয়ামি লিগের এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি বলেছেন, আজ আমার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। কিন্তু সত্যিটা হল ছাত্রনেতাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছেন মহম্মদ ইউনুস নিজেই। এমনকী তারেক রহমান লন্ডন থেকে মদত দিতেন ও বলতেন এইভাবে গণহত্যা চালিয়ে গেলে এই আওয়ামি লিগের সরকার বেশিদিন টিকবে না।

হাসিনা আরও বলেন, আজ পুলিশ, শিক্ষক, হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের উপর হামলা হচ্ছে বাংলাদেশে। খুন পর্যন্ত করা হচ্ছে তাদের। একাধিক গির্জা ও মন্দিরে হামলা চালানো হচ্ছে, ভাঙচুর করা হচ্ছে। বাংলাদেশে এখন কেন সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে? হাসিনা বলেন, আমি গণহত্যা চাইনি। আমি যদি ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চাইতাম, তাহলে গণহত্যা হতো।যখন নির্বিচারে মানুষ মারা চলছে, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমার চলে যাওয়াই উচিত। আমার নিরাপত্তাকর্মীরা গুলি চালালে, গণভবনে অনেকে মারা যেতেন। আমি তা চাইনি।

দেশ ছেড়ে চলে আসার সময়ের কথা বলতে গিয়ে হাসিনার বিস্ফোরক দাবি, আমার বাবার মতোই হত্যা করার ছক ছিল আমাকে। সশস্ত্র জনতা গণভবনে এসেছিল আমাকে হত্যা করতে। কিন্তু তখনও আমি নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলি চালানোর নির্দেশ দিইনি।

প্রসঙ্গত,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে চলতি বছরের গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। তারপরেই বিশেষ বিমানে ভারতে চলে আসেন মুজিব কন্যা। তার কিছুদিন পরেই বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। যার প্রধান উপদেষ্টা হন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস।তবে হাসিনা যখন ইউনূসকে আক্রমণ করছেন, সেই সময়ই তাঁর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শ্বেতপত্র প্রকাশ করে তারা অভিযোগ করেছে যে, ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে হাসিনা সরকার ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। ভারতের পাশাপাশি, আমেরিকা, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াতেও টাকা পাচার হয় বলে দাবি করা হয়েছে।

3.
4.
5.
6.
7.
8.
9.
10.