স্তব্ধ ৯ ভাষার চর্চা, প্রয়াত শান্তিনিকেতনের সুনীতি পাঠক

তীব্বতের বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামে ঘুরে তিব্বতী ভাষার (Tibetian language) উপর যে দখল তৈরি করেছিলেন তিনি, তারই হাত ধরে শান্তিনিকেতনের পঠন-পাঠনের

0
2

তিব্বতী ভাষার (Tibetian language) পণ্ডিত সুনীতি কুমার পাঠকের (Suniti Pathak) জীবনাবসান শান্তিনিকেতনে (Santiniketan)। সেই সঙ্গে শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্র-যুগের আরেক ইতিহাসের পাতা বন্ধ হল। ১০২ বছর বয়সে বুধবার নিজের অবনপল্লীর বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ফেলে গেলেন শান্তিনিকেতনে সাহিত্য চর্চার ঐতিহ্য।

বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) তিব্বতী চর্চার জনক বলে পরিচিত অধ্যাপক সুনীতি পাঠক। তীব্বতের বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামে ঘুরে তিব্বতী ভাষার (Tibetian language) উপর যে দখল তৈরি করেছিলেন তিনি, তারই হাত ধরে শান্তিনিকেতনের পঠন-পাঠনের মধ্যে তার অন্তর্ভুক্তি করার প্রয়াস করেন তিনি। বলা বাহুল্য, শান্তিনিকেতনে এই ভাষা চর্চা শুরু হওয়ার পর থেকে ভারতের সঙ্গে তিব্বতের (Tibet) সুসম্পর্কের পথও খুলেছে বিশ্বভারতীর হাত ধরে। যার পথপ্রদর্শক ছিলেন সুনীতি পাঠক।

আদতে মেদিনীপুরের সন্তান সুনীতিবাবুর পঠন পাঠন কলকাতাতে হলেও তাঁর প্রকৃত বিকাশ ঘটে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) সাহচর্যে। পরবর্তীকালে বিশ্বভারতীতে (Visva-Bharati) পুঁথি বিভাগে যোগদান করেন। ভারত সরকারের নির্দেশে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগদান করে তিব্বতী ভাষা (Tibetian language) থেকে ইংরাজি অনুবাদক হিসাবেও কাজ করেন। বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি, তিব্বতর পাশাপাশি মঙ্গোলিয়া চিনা, পালি, প্রাকৃত, সংস্কৃতের মতো নয়টি ভাষায় পাণ্ডিত্য ছিল তাঁর। বুধবার তাঁর প্রয়াণে শোক শান্তিনিকেতনের সাহিত্য মহল।