লেন্সবন্দি প্রকৃতি! নেচার ফটোগ্রাফি নিয়ে অভিনব উদ্যোগ মার্লিন গ্রুপের

সবুজ সচেতনতা বাড়াতে মানুষ এবং প্রকৃতির মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করতে দারুণ উদ্যোগ নিল মার্লিন গ্রুপ (Merlin Group)। কলকাতায় নেচার ফটোগ্রাফি (Nature Photography)নিয়ে এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল সংস্থা। নাম ছিল মার্লিন গ্রিন ফ্রেমস ২০২৪ (Merlin Green Frames)। এই ধরণের উদ্যোগের নেপথ্যে পরিবেশ সংরক্ষণের বার্তা দেওয়াই ছিল মূল লক্ষ্য। ১০ নভেম্বর ইবিজা এবং অ্যাকুয়াভিলে এই ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা (photography Competition)এবং কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। গত ৮ ডিসেম্বর লেন্সবন্দি প্রকৃতির ছবি নিয়ে প্রদর্শনী করা হয়। এই প্রতিযোগিতার মেন্টর এবং বিচারক ছিলেন সন্দীপন মুখোপাধ্যায়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মার্লিন গ্রুপের চেয়ারম্যান সুশীল মোহতা ও তাঁর স্ত্রী। এই প্রতিযোগিতার নলেজ পার্টনার হিসাবেও ছিল ইন্ডিয়ান ফটোগ্রাফিক অ্যাকাডেমি। গতবারের মত এই নেচার ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা থেকে এবারও উঠে এসেছিল অনেক হারিয়ে যাওয়া প্রজাতির ছবি। দেখা মিলেছে পার্পল সানবার্ড, পার্পল-রাম্পড সানবার্ড, রেড-উইস্কার্ড বুলবুল, ক্রেস্টেড সারপেন্ট ঈগল, রেড-ওয়াটলড ল্যাপউইং, গ্রে-হেডেড ল্যাপউইং, লেসার ফ্লেমব্যাক উডপেকার, এবং গ্রিন বিই-ইটার , স্পটেড ডোভ, এবং ব্ল্যাক ড্রংগো । এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতি- টাইগার, ব্লু টাইগার, টেইলড জে, এবং ব্রাউন এগও ক্যামেরাবন্দি হয়েছে।

মার্লিন গ্রিন ফ্রেমস প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন মোহনা সেনগুপ্তা। ল্যান্ডস্কেপ বা প্রকৃতি বিষয়ক বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেন অনিকেত সাহা এবং রানার আপ হয়েছেন পার্থ মুখোপাধ্যায়। নেচার ফটোগ্রাফির বার্ড সেকশনে প্রথম শিবাশিস রায় চৌধুরী, এবং রানার আপ হয়েছেন সুভাষ দাসগুপ্ত। লাইফ ইন অ্যাকশন বিভাগে প্রথম হয়েছেন, শুভায়ন সাহা এবং রানার আপ হয়েছেন শিবাশিস রায় চৌধুরী । ফ্লোরা এন্ড ফনা বিভাগে প্রথম হয়েছেন, দীপায়ন দাস এবং রানার আপ হয়েছেন সুভাষ দাসগুপ্ত। ম্যাক্র বিভাগে প্রথম স্থান পেয়েছেন, সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়, দ্বিতীয় প্রদীপ্ত মৌলিক। বিশেষ হোস্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে আকাশ শাহ। চলতি বছরে এই ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন পঞ্চাশ জনের বেশি ফটোগ্রাফার। এই ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে মার্লিন গ্রুপের চেয়ারম্যান শ্রী সুশীল মোহতা (Sushil Mohota)বলেন, এই প্রতিযোগীতার মধ্য দিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণ এবং প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য সকলকে অনুপ্রাণিত করেছে। এখানে প্রদর্শিত ছবি নিয়ে আগামিতে অ্যাক্রোপলিস মলে প্রদর্শনী হবে বলে জানা গেছে।