পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে একটি রহস্যময় কালো বস্তু। যাকে নাম দেওয়া হয়েছে ব্ল্যাক নাইট (Black Night) উপগ্রহ। কিন্তু আসলে কী ওটা? ওটা কি ভিনগ্রহীএর কোনও যান নাকি প্রাচীন কোনও মহাকাশযান, যা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে বহু বছর আগে। কিন্তু পৃথিবীর অভিকর্ষ টানে কক্ষপথে ঘুরে চলেছে আজও। এখনও অজানা সেই কারণ। রহস্যের সমাধান সূত্র খুঁজে পায়নি নাসা (NASA)।

১৯৯৮ সালে প্রথম ওই ‘ব্ল্যাক নাইট’ উপগ্রহের (Black Night satellite) ছবি প্রকাশ্যে আনে নাসা। তারপর কেটে গিয়েছে দুই যুগ কিন্তু রহস্যের উন্মোচন হয়নি। আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে অভিযান চলাকালীন মহাকাশচারীদের টেলিস্কোপে ধরা পড়ে রহস্যজনক ওই বস্তু। কিন্তু সেটা আসলে কী তা জানতে হিমসিম খাচ্ছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। কেউ মনে করেন, ওটা ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর পৃথিবীর কক্ষপথে রাশিয়ার পাঠানো উপগ্রহ স্পুটনিক-১ (Sputnik-1)। ৬৭ বছরে ধরে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরে চলেছে সেই উপগ্রহ। আবার অনেকে বলেন, রাশিয়ার স্পুটনিক-১ নয়, প্রায় ১৩ হাজার বছর আগে থেকে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে ওই ‘উপগ্রহ’টি, সেটাই হল ‘ব্ল্যাক নাইট’। কিন্তু সবই তত্ত্ব কথা, কোনও সারবত্তা নেই সেই কথায়, নেই কোনও প্রামাণ্যও। শুধু রয়েছে নানা রহস্য, নানা মত।

নাসা জানিয়েছিল, পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথের প্রায় ১৯৩০ কিলোমিটার দূর থেকে প্রদক্ষিণ করছে ওই উপগ্রহটি (satellite)। নাসা (NASA) ওই বস্তুটির নাম দেয় এসটিএস০০৮-৭২৪-৬৬। মহাকাশে থাকা একটি ধ্বংসাবশেষ হিসাবেই দেখা হয়। আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে সংযুক্ত হওয়ার সময় মহাকাশযান থেকে তা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু ১৩ হাজার বছর আগে থেকে যদি ওই বস্তুটির অস্তিত্ব থেকে থাকে, উপগ্রহ আবিষ্কারের বহু যুগ আগে তা কোথা থেকে এল? অনেকে আবার মনে করেন, ‘ব্ল্যাক নাইট’ ভিনগ্রহীদের মহাকাশযান। ‘ব্ল্যাক নাইট’ নিয়ে নানা গুজব রয়েছে মহাকাশবিজ্ঞানে।

টেসলা দাবি, ১৮৯৯ সালে কলোরাডো স্প্রিংসে রেডিও পরীক্ষার সময় তিনি মহাকাশ থেকে অদ্ভুত এক ‘সঙ্কেত’ পান। তাঁর বিশ্বাস ছিল, এই সঙ্কেত এসেছিল মঙ্গলগ্রহ থেকে। ১৯৬৩ সালে মহাকাশ অভিযানের সময় মহাকাশচারী গর্ডন কুপারও মহাকাশে রহস্যময় কালো বস্তু দেখেন।

