ইউনূসের বিজয় দিবস-ভাষণে পাক নয়, নিশানায় হাসিনা! নেই ভারতের উল্লেখ

যে বিজয় ছিনিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ভারতীয় সেনা (Indian Army), সেই বিজয় উদযাপনের দিনে ইউনূসের (Mohammed Yunus) মুখে কোথাও স্থান পেল না ভারতের কথা

বাংলাদেশের বিজয় দিবস (Bijay Dibas) উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস (Mohammed Yunus)। সেই ভাষণে কার্যত পাক সেনা থেকে বিজয় ছিনিয়ে আনার উল্লেখ জায়গায় পেল খুব সামান্য। বদলে হাসিনা সরকারের পতনকেই বিজয় দিবস হিসাবে মান্যতা ইউনূসের।

একদিকে যখন এপার বাংলায় ফোর্ট উইলিয়ামে (Fort William) দুই দেশের প্রতিনিধি ও সেনার মিলিত বিজয় দিবস পালন চলছে, সেই সময়েই বাংলাদেশের মানুষের উদ্দেশ্যে ভাষণ অন্তর্বর্তী সরকার (interim government) প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের। সেখানে বারবার তিনি নাম না করে উল্লেখ করেন স্বৈরাচারী হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের শাসনের। যার পতনের পরে এবছরের বিজয় দিবস (Bijay Dibas) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন। পাকসেনা পরাজিত হওয়ার পরেও স্বৈরাচারী শাসনের কারণে বাংলাদেশ মুক্তির স্বাদ অনুভব করেনি, এমনটাই উল্লেখ মহম্মদ ইউনূসের।

যে বিজয় ছিনিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ভারতীয় সেনা (Indian Army), সেই বিজয় উদযাপনের দিনে ইউনূসের (Mohammed Yunus) মুখে কোথাও স্থান পেল না ভারতের কথা। উপরন্ত নাম না করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের হিংসা অরাজকতার ছবি তুলে ধরার সমালোচনা বিজয় দিবসের ভাষণে। সম্প্রতি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকেও অপপ্রচারের উল্লেখ করেন ইউনূস, এমনটা তিনি ভাষণে জানান।

একদিকে যখন বাংলাদেশের বিদেশ সচিব (foreign secretary) দাবি করছেন ভারতের সঙ্গে তারা সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চান, সেই সময় বিজয় দিবসের ইউনূসের ভাষণে উল্টো সুর। তিনি জানান ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (European Union) দেশগুলিকে দিল্লির (Delhi) পরিবর্তে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ভিসা অফিস ঢাকায় (Dhaka) স্থাপন করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। কার্যত প্রমাণিত ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করাই অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য।

বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি (communal harmony) রক্ষার বার্তা দেন। তাঁর দাবি বাংলাদেশে এমন সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে যেখানে সংখ্যালঘুরা সংখ্যাগুরুদের ভয়ে ভীত হবেন না। সেইসঙ্গে তিনি জানান নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এবার তাঁদের হাতে নির্বাচিত সরকার গঠনের দায়িত্ব। ২০২৬-এর প্রথম দিকেই নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার ইঙ্গিত তিনি দেন।