Thursday, August 28, 2025

সনিয়ার কাছে থাকা নেহরুর চিঠি চায় কেন্দ্র, PMML-এর চিঠি রাহুলকে

Date:

সংসদের যে কোনও ভাষণেই প্রধানমন্ত্রী-সহ বিজেপির সাংসদরা কংগ্রেস তথা কংগ্রেস জমানাকে তুলোধনা করেন। সেই মোদি সরকার এখন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর ব্যক্তিগত চিঠি ফেরত চাইছে। এই অনুরোধে লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) চিঠি দিল দিল্লির ‘প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা এবং গ্রন্থাগার’ (PMML)। চিঠিগুলি বর্তমানে সনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) কাছে রয়েছে। ১০ ডিসেম্বর চিঠি দিয়ে সেগুলির ফেরত পাঠানোর আর্জি জানানো হয়েছে।

১৯৭১-এ জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়ালের তরফে নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি তৈরি করা হয়। পরে তার নাম বদলে হয় প্রধানমন্ত্রী মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি। সেই বছরই নেহরু-কন্যা ইন্দিরা গান্ধী (Indira Gandhi) এই চিঠিগুলি মিউজিয়ামকে দিয়েছিলেন। ২০০৮-এ UPA আমলে সেই চিঠিগুলি প্যাক করে ৫১টি বক্সে সনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) কাছে পাঠানো হয়। যদিও গান্ধী পরিবারের তরফে কখনওই এই বিষয়ে মুখ খোলা হয়নি।

কী আছে সেই চিঠিগুলিকে?
ব্যক্তিগত ওই চিঠিগুলি অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, জয়প্রকাশ নারায়ণ, পদ্মজা নায়ডু, বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত, অরুণা আসফ আলি, বাবু জগজীবন রাম, গোবিন্দবল্লভ পন্থ, এডুইনা মাউন্টব্যাটেনকে লিখেছিলেন নেহরু।

ব্যক্তিগত হলেও ঐতিহাসিক দিক থেকে ওই চিঠিগুলির গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু ইতিহাসে কংগ্রেসের (Congress) অবদান কখনই স্বীকার করেনি BJP। সেই দল এখন নেহরুর চিঠি চাইছে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুলকে (Rahul Gandhi) চিঠিতে পিএমএমএল-এর সদস্য রিজওয়ান কাদরি লেখেন, “আমরা বুঝতে পারছি নেহরু পরিবারের কাছে এই নথিগুলির ব্যক্তিগত তাৎপর্য রয়েছে। যদিও পিএমএলএল মনে করে, এই ঐতিহাসিক সম্পদ গবেষকদের কাছে আরও সহজলভ্য হওয়া উচিত।“ সেই কারণে সেগুলি বা তার ফোটোকপি বা ডিজিটাল কপি যেন সরকারকে দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, “দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর লেখা এই চিঠিগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম”।

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version