মঙ্গলবার পুরো প্রস্তুতি নিয়ে ‘এক দেশ এক ভোট’ (One Nation One Election) বিল পেশ করল মোদি সরকার। যদিও পেশের সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধী সাংসদদের একযোগে প্রতিবাদে বিল নিয়ে আলোচনার আগেই বিতর্কের অনুমতি দিতে বাধ্য হন স্পিকার ওম বিড়লা (Speaker Om Birla)। এদিন বিল পেশের আগে তৃণমূল, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, শিবসেনা সহ বিরোধী দলগুলি সব সাংসদদের উপস্থিতি নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল। আইনমন্ত্রীর বিল পেশের পরেই তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) প্রশ্ন তোলেন, যেখানে রাজ্যের বিধানসভাগুলির সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মতই আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রয়েছে, সেখানে তাদের আলাদা ভোটের অধিকার তুলে নেওয়া ‘আলট্রা ভাইরাস’।

মোদি সরকার নির্বাচনের অধিকার রাজ্যগুলির থেকে কেড়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে বিল আনার পরিকল্পনা করতেই একযোগে প্রতিবাদের পরিকল্পনা করেছিল বিরোধী দলগুলি। সেই মতো বেলা ১২টায় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল (Arjun Ram Meghwal) বিলটি পেশ করার পরই প্রতিবাদে সরব হন বিরোধী সাংসদরা। কংগ্রেস (Congress) সাংসদ মনীশ তেওয়ারি দাবি করেন, সংবিধানের কিছু মৌলিক কাঠামো রয়েছে। সেই মৌলিক কাঠামোগুলিকে সংশোধনের অধিকার নেই সংসদের। সেই মৌলিক কাঠামোর অন্যতম যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো (Federal structure)। এই বিল অনুমোদন হলে আদতে সংবিধানের অবমাননা হবে। ভারত একাধিক রাজ্যের সমন্বয়ে তৈরি। এই বিল সেই রাজ্যগুলির ক্ষমতাকে অগ্রাহ্য করে।

সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party) থেকে ডিএমকে সাংসদরাও প্রতিবাদে সরব হন। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) দাবি করেন, সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যের নির্বাচিত বিধানসভার অধিকার তার সময়সীমা পর্যন্ত বলবৎ থাকে। রাজ্য বিধানসভা সংসদের নিম্ন কক্ষ নয়। তার আলাদা আইন প্রণয়নেরও অধিকার রয়েছে সংবিধান অনুযায়ী। তাঁর দাবি, এটা নির্বাচনী সংস্কার নয়, এটা এক ভদ্রলোকের (Geltleman’s) মনের ইচ্ছের বাস্তবায়ন। সেই সঙ্গে যেভাবে এই সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়েছে তাতে নির্বাচন কমিশনের হাতেই সব অধিকার দেওয়া হয়েছে। তবে সাংসদদের প্রয়োজনীয়তা কী, প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ।

টিডিপি এই বিলকে সমর্থন জানায়। তবে ডিএমকে (DMK) সাংসদ টি আর বালু এই বিল সংসদের জেপিসি-তে (JPC) পেশের প্রস্তাব করেন। মঙ্গলবার বিরোধীদের প্রবল চাপের মুখে বালুর প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) প্রস্তাব করেন বিলটি জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটিতে (JPC) পাঠানোর।

–

–

–

–

–

–

–
