সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলায় অতিরিক্ত শূন্যপদ (Supernumerary post) নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। এদিন মামলার শুনানি শুরু হতেই রাজ্যের তরফে জানানো হয় যে যোগ্য এবং অযোগ্যদের মধ্যে বাছাই করা সম্ভব। এরপরই প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না OMR শিট সংরক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন করেন। এই সংক্রান্ত তিনটি রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই (CBI) যা এই মামলায় উল্লেখ করা হয়। এরপরই CJI জানতে চান মার্কশিট আপলোড সময় নম্বর বাড়ানো হয়েছে কিনা। এমনকি ওএমআরের মিরর ইমেজ (Mirror images of OMR) নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। অতিরিক্ত শূন্য পদ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে রাজ্যের তরফে বলা হয় মানবিকতার খাতিরে সুপার নিউমেরিক পদ তৈরি করা হয়েছিল।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ওএমআর শিটে রদবদল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। জানতে চান, অযোগ্যদের প্রাধান্য দিতে কি অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল। রাজ্যের আইনজীবী সাফ বলেন, হাই কোর্টের অনুমতি ছাড়া কোনও নিয়োগ সম্ভব নয়। আর সিবিআই যখন নির্দিষ্ট সংখ্যক অযোগ্যদের চিহ্নিত করতে পেরেছে তাহলে কেন সকলের নিয়োগ বাতিল করা হবে? এরপর সিবিআই তদন্ত নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন CJI সঞ্জীব খান্না। রাজ্যের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদি (Rakesh Dwivedi) এদিন জানিয়েছে, সাধারণত এক বছর পরে ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়। তবে ‘মিরর ইমেজ’ সংরক্ষণ করে রেখেছে এসএসসি (SSC)। এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “সাধারণভাবে এটা ঠিক নয়। কেউ ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ সংরক্ষণ করে রাখেনি। এসএসসি করেনি। তারা দায়িত্ব দিয়েছিল নাইসাকে। নাইসা আবার স্ক্যানটেককে তথ্য দেয়। তারাও সংরক্ষণ করেনি। স্ক্যানটেক স্ক্যান করেই ছেড়ে দিয়েছিল। একটা জিনিস পরিষ্কার, আসল এবং স্ক্যান ওএমআর শিট একই নয়।” লাঞ্চ বিরতির পর বিকেল তিনটে থেকে ফের এই মামলার শুনানি শুরু হবে। আজ শেষ না হলে আগামিকালও (শুক্রবার) শুনানি চলবে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

–

–


–

–

–

–

–

–

–
