তড়িঘড়ি রামমন্দির (Ram temple) বানিয়ে ও উদ্বোধন করে ২০২৪ ভোট বৈতরণী পার করতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তবে রামমন্দির যে আদৌ কোনও রাজনৈতিক ইস্যু ছিল না, অবশেষে প্রকাশ্যে সেই দাবি করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Ex CJI D Y Chandrachud) ধর্মীয় স্থানের পরিচয় নির্দিষ্ট করার রায়কেও কার্যত নস্যাৎ করেন আরএসএস (RSS) প্রধান। তাঁর বক্তব্য প্রতিটি মসজিদের নিচে মন্দির খোঁজা নিরর্থক।

অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের অনেক আগেই এই মন্দির দেশের মানুষের জন্য নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, দাবি মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat)। মন্দির তৈরির দাবি হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে থাকলেও ব্রিটিশ আমলেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল এই মন্দিরের অস্তিত্ব। তবে বিষয়টি নিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে ধর্মীয় ভেদাভেদ জারি রাখতে এই ইস্যুর নিষ্পত্তি করেনি ব্রিটিশরা (British), দাবি আরএসএস (RSS) নেতার। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই ব্রিটিশদের তৈরি করে যাওয়া ধর্মীয় ভেদাভেদ ফের দেশে মাথাচাড়া না দিতে পারে তা নিয়ে সতর্ক করেন ভাগবত।

তাই রামমন্দির তৈরি করে রাতারাতি হিন্দু নেতা (leaders of Hindus) হওয়ার প্রচেষ্টা করতে যাওয়া নরেন্দ্র মোদি, যোগী আদিত্যনাথকেও নাম না করে কড়া বার্তা দেন তিনি। তাঁর দাবি, রামমন্দির তৈরি করার পরে কিছু মানুষ ভাবেন তাঁরা হিন্দু নেতা হয়ে উঠতে পারবেন, সামনে আরও কিছু উদাহরণ তুলে দিয়ে। সম্প্রতি ২০২২ সালের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের (CJI D Y Chandrachud) রায়কে হাতিয়ার করে একাধিক মসজিদের আসল ধর্মীয় চরিত্র খোঁজা শুরু হয়েছে একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে। এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেন আরএসএস (RSS) প্রধান। তাঁর দাবি, প্রতিদিন এরকম এক একটি ঘটনা উঠে আসছে। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ভারতকে ধর্মীয় সহনশীলতার দিশা হিসাবে বিশ্বের দরবারে পেশের সওয়াল করেন তিনি।

ধর্মের সহনশীলতা ভারতের ঐতিহ্য বলে দাবি করেন তিনি। সেখানে প্রত্যেকের ধর্মীয় মতপ্রকাশ ও উপাসনার স্বাধীনতার দাবি করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে বাহাদুর শাহ জাফরের উদাহরণ তুলে আনেন তিনি। তাঁর কথায় ঔরঙ্গজেব ধর্মীয় গোঁড়ামিতে বিশ্বাসী হলেও শাহ জাফর গো-হত্যা নিষিদ্ধ করার মতো নজিরও রেখেছিলেন।


–

–

–

–

–

–

–
