মন্দিরে ঢুকে খুন সেবায়েতকে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিপীড়ন হারালো পাকিস্তানকে

নাটোর (Natore) জেলার বড়হরিশপুরের কাশিমপুর শ্মশান মন্দিরে হামলা চালালো দুষ্কৃতীরা। মন্দিরের ভিতরেই হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হল ২৩ বছরের পুরোনো সেবাইতের (priest) দেহ

সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় বাংলাদেশ এবার টপকে গেল পাকিস্তানকে। হামলার ক্ষেত্রে উপাসনাস্থলকে বিশেষভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে গত চার মাসে। এবার শুধুমাত্র হিন্দুদের উপাসনাস্থলে হামলাই নয়, খুন করা হল মন্দিরের সেবায়েতকে (priest)। ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও স্থানীয় ক্ষোভ প্রশমনেও তৎপর ইউনূস প্রশাসন। ঘটনার তদন্তে নিয়োগ করা হয়েছে সিআইডিকেও।

ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা হলেও সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি প্রতিকারের দাবি জানানো হয়েছিল। বিদেশ সচিবের (foreign secretary) বাংলাদেশ সফরের পরে বাংলাদেশ প্রশাসনও পদক্ষেপ নেওয়া তথ্য তুলে ধরে দায়িত্ব খালাস করেছিল। তবে আদতে যে তাতে পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি তা বারবার সংখ্যালঘুদের (minority) দেশ ছাড়ার ঘটনা ও মন্দির, উপাসনাস্থলে হামলার ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে।

এবার নাটোর (Natore) জেলার বড়হরিশপুরের কাশিমপুর শ্মশান মন্দিরে হামলা চালালো দুষ্কৃতীরা। মন্দিরের ভিতরেই হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হল ২৩ বছরের পুরোনো সেবাইতের (priest) দেহ। সেই সঙ্গে মন্দিরের প্রণামী বাক্স বেপাত্তা হয়। ভাঁড়ার ঘরের তালা ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তবে নৃশংস এই খুনে ডাকাতিই ছিল মূল উদ্দেশ্য, এমনটা পুলিশ দাবি করলেও সংখ্যালঘুদের উপর আক্রোশের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মূল মন্দিরের বাইরে সেবায়েতের ঘরের কাছে দেহ উদ্ধার হয়। অথচ ডাকাতির ঘটনা ঘটে মূল মন্দিরে, যার থেকে সন্দেহ বেড়েছে স্থানীয়দের।

তবে সব ঘটনাই যে ভারত নজরে রাখছে তার নমুনা তুলে ধরা হল বিদেশ মন্ত্রকের (ministry of external affairs) তরফে। প্রকাশ্যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ভারত সরকার। শুধুমাত্র ভারতীয় মিডিয়ায় নিন্দার পরে বেজায় চটেছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি। তবে কেন্দ্রের সরকারের তরফে বিবৃতি জারি না করা হলেও তথ্য পেশ করে জানানো হয়, সংখ্যালঘু নিপীড়নে পাকিস্তানকে টপকে গেল বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত পাকিস্তানে (Pakistan) সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে ১১২টি। সেখানে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ২,২০০টি। সেই সঙ্গে জানানো হয়, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনও প্রতিবেশী রাষ্ট্রে সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনা নেই।