খোনোমার অন্যরকম দোকানে পসরা থাকলেও কী নেই!

 

জয়িতা মৌলিক
সাজানো পসরা। আরে দাদা-দিদি-বৌদি-কাকু– কে আছেন দোকানে? কোনও সাড়া নেই। কারণ ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতা নেই। সেল্ফ সার্ভিস। নাগাল্যান্ডের (Nagaland) রাজধানী কোহিমা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে খোনোমায় (Khonoma) এটাই রীতি। এশিয়ার প্রথম ‘সবুজ গ্রাম’-এর তকমা পাওয়া খোনোমায় আছে এই ‘অন্যরকম দোকান’।
আরও খবর: বড়দিনের আগের সুখবর! পর্যটকের ভিড়ে সড়ক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার মঙ্গন জেলা প্রশাসনের

খোনোমার (Khonoma) সেদিকে চোখ যায় শুধুই সবুজ। চাষাবাদই এই গ্রামের মানুষের প্রধান জীবিকা। যদিও এক সময় যোদ্ধা গ্রাম হিসেবে পরিচিত ছিল খোনোমা। সেই স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন দুর্গ। তবে, এখানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের বেশিরভাগ দোকানেই নেই বিক্রেতা। পসরা সাজানো। লেখা রয়েছে দাম। তার পাশে একটি ফুটো দেওয়া স্বচ্ছ প্লাস্টিকের কৌটো। জিনিস নিয়ে সেখানেই দাম দিয়ে চলে যান ক্রেতারা। বিশ্বাস-ভরসার এই দৃশ্য খনোমার রাসায়নিক সার বিহীন শস্য আর ফলের মতোই খাঁটি। স্থানীয়দের মতে, কখনই হিসেবের গড়মিল হয় না।

তবে, এতে প্রধান দুটি সমস্যা আছে। প্রথমত, সঠিক দাম দিতে হয়। না হলে টাকা ফেরত পাওয়ার সমস্যা। আর দ্বিতীয়ত, ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় অনলাইন পেমেন্ট করা যায় না। হয়ত ভবিষ্যতে টাকার কৌটোর বদলে কিউআর কোড ঝোলানো থাকবে।