শিক্ষা জাগায় চেতনা। আর চেতনার প্রকাশ দেখা গেল উইমেন্স কলেজ ক্যালকাটা (Women’s College, Calcutta) স্নাতকোত্তর সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন (MA, Journalism and Mass Communication) বিভাগের ছাত্রীদের অনুষ্ঠানে। সান্টাক্লজের মতোই সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুদের মুখে হাসি ফোটালেন তাঁরা। মধ্যমগ্রামের (Madhyamgram) “সৃষ্টির পথে” সংস্থার সহযোগিতায় কলেজের ছাত্রীরা প্রায় ১০০ শিশুর হাতে উপহার তুলে দেন।
গতবছর শোভাবাজার (Sobhabazar) ফুটপাতের শিশুদের হাতে তারা এই উপহার তুলে দিয়েছিল সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন ছাত্রীরা। ছোটবেলার সান্তা হিরোর গল্পও বাস্তব হয়ে উঠল এদিন। এ বছর মধ্যমগ্রামের “সৃষ্টির পথে” সংস্থার সহযোগিতায় কলেজের ছাত্রীরা প্রায় ১০০ শিশুর হাতে নিজেদের পকেটমানির পয়সা বাঁচিয়ে শীতের টুপি এবং শীতবস্ত্র কম্বল তুলে দিল। অনাথ শিশুদের হাতে উপহার তুলে দেওয়ার পাশাপাশি সময় কাটান তাঁরা। ক্রিসমাসের আনন্দ, গল্পে, কবিতায়, আড্ডায়। আর ছোটছোট শিশুদের বোঝাবে লেখাপড়ার কোনও বিকল্প নেই, যেন তারা কেউ স্কুলছুট হয়ে পালিয়ে না যায়- সে বিষয়েও বার্তা দেন।
ছাত্রীদের সঙ্গে ছিলেন অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, অধ্যক্ষা ড. অনুপমা চৌধুরী এবং স্নাতকোত্তর সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের কোঅর্ডিনেটর ড. বিশ্বজিৎ দাস।
অধ্যক্ষা ড. অনুপমা চৌধুরী বিশ্বাস বলেন, “সাংবাদিকতার যাত্রীদের এই অভিনব প্রয়াস প্রশংসনীয়। সমাজের সব স্তরের মানুষকে তারা অনুপ্রাণিত করছে। আগামীদিনে তারাই দেশ তৈরির কারিগর। এমন কোটি কোটি সান্তা ছড়িয়ে পড়ুক রাজ্যে, দেশে।” আগামী দিনে এই ছাত্রীরাই সাংবাদিকতায় নতুন দিশা আনবে এবং সমাজের প্রান্তিক অঞ্চলে পৌঁছে যাবে যাতে সামগ্রিক মঙ্গল হয়- মত অধ্যাপক দাসের।
–
–
–
–
–
–
–