ইউনূসের ‘শান্তি’র বাংলাদেশে ধর্ষণ করে খুন! নির্যাতিতা নির্বাচিত মহিলা সদস্য

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় মহিলার ময়নাতদন্তে (post mortem) পাকস্থলীতে বিষের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে

অন্তবর্তী সরকারের প্রতিষ্ঠার পর আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা যেভাবে বাংলাদেশে ভেঙে পড়েছে এবার তার শিকার নির্বাচিত সদস্যা। অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলেও আখেরে যে তা নিয়ন্ত্রণ করছে জামাত-এ-ইসলামের (Zamat-e-Islami) মতো সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধার হেনস্থার ঘটনায় তা প্রকাশ্যে এসেছিল। এবার সেই জামাতের সদস্যদের বিরুদ্ধেই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যাকে (UP member) ধর্ষণ করে মুখ বন্ধ করতে খুনের অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে বাংলাদেশ পুলিশ।

নড়াইলের (Narail) জেলা সদরের সংরক্ষিত আসনের প্রৌঢ় মহিলা মালপত্র বিতরণের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁকে পাওনা টাকা দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠান রাজিবুল নামে এক যুবক। টাকা আনতে গেলে সেখানেই সংখ্যালঘু ওই মহিলাকে গণধর্ষণ (gang rape) করা হয়। ঘটনার ভিডিও (video) করে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। ভিডিওর পরিবর্তে তাঁর কাছে টাকা দাবি করে গণধর্ষণে অভিযুক্ত জামাত সদস্যরা।

এরপরই ইউপি সদস্য ওই মহিলা গোটা বিষয়টি সকলকে জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। তখন তাঁর মুখে বিষ (poison) ঢেলে তাঁকে ছেড়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। বাড়ি ফেরার পর তিনি অসুস্থ বোধ করলে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেই সময় তিনি গোটা ঘটনা পরিবারের সকলকে জানান। অভিযুক্তদের নামও প্রকাশ করেন। হাসপাতালে টানা একদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হার মানেন ওই সংখ্যালঘু প্রৌঢ়া (minority community elderly lady)। এরপরই পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় মহিলার ময়নাতদন্তে (post mortem) পাকস্থলীতে বিষের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। তবে গণধর্ষণ কিনা এবং মৃত্যুর আর কী কারণ থাকতে পারে পরীক্ষার জন্য ভিসেরা পরীক্ষা করা হবে। ঘটনায় এক জামাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।