বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee meeting in Sandeshkhali) সন্দেশখালিতে প্রশাসনিক বৈঠকের পরের দিনই রাজনৈতিক সভার নামে সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরির চেষ্টা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Shubhendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীকে মৌখিক আক্রমণ করতেই বিজেপি নেতাকে পাল্টা খোঁচা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। হিন্দু মুসলিম ভোটের ভাগাভাগি প্রসঙ্গে তিনি স্পষ্ট জানান যে তৃণমূল ধর্মের রং দিয়ে রাজনীতি করে না। বাংলায় সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরি করতে গিয়ে বিজেপি এর আগেও হেরেছে এবং ভবিষ্যতেও হারবে বলে কটাক্ষ কুণালের।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যে নিন্দনীয় ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন, তার পাল্টা জবাবে কুণাল বলেন, এসব শুভেন্দু অধিকারীর হতাশার বহিঃপ্রকাশ। দলে গুরুত্ব হারিয়ে বিরোধী দলনেতা ক্রমাগত মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন বলেও খোঁচা দেন তিনি। পাশাপাশি জানান কুৎসা করা ছাড়া বিরোধীদের হাতে আর কিছু নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মারকুটে দাপুটে ব্যাটিংয়ের সামনে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যকে ‘ওয়াইড বল’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। এখানেই শেষ নয় শুভেন্দুর ‘দুষ্টু লোক’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণালের কটাক্ষ, ‘‘হাস্যকর কথা বলছেন। উনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের অভিভাবক। মমতা যেটা বলতে চেয়েছেন, সেটা সবাই বুঝেছেন, সন্দেশখালির মানুষ বুঝেছেন। শুধু শুভেন্দু অধিকারীরা বোঝেননি। এটা তাঁদের সমস্যা।’’ সন্দেশখালির সভা থেকে শুভেন্দুর বাংলায় সরকার গড়ার ঘোষণা প্রসঙ্গে কুণালের কটাক্ষ, ‘‘কুঁজোরও শখ হয় চিৎ হয়ে শোওয়ার, গামছারও ইচ্ছা করে ধোপা বাড়ি যাওয়ার। এ সব বিজেপির দিবাস্বপ্ন। চলুক।’’

–

–



–


–

–

–

–
–

–
