লড়াই করেও হার লাল-হলুদের, বছরের প্রথম ম্যাচে মুম্বইয়ের কাছে ২-৩ গোলে হারল ইস্টবেঙ্গল

প্রথমার্ধ দেখে দ্বিতীয়ার্ধ বোঝা যাবে না , যে এরকমভাবে কামব্যাক করবে ইস্টবেঙ্গল।

ছবি : দেবস্মিত মুখোপাধ্যায়

লড়াই করেও হার ইস্টবেঙ্গল এফসির। নতুন বছরে প্রথম ম্যাচে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি। ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লাল-হলুদের প্রতিপক্ষ ছিল মুম্বই সিটি এফসি। সেই ম্যাচে ২ গোলেও পিছিয়ে থেকেও সমতা ফেরায় অস্কার ব্রুজোর দল। তবে শেষমেশ হিজাজি মাহের ভুলে ৩-২ গোলে হারল ইস্টবেঙ্গল। এই হারের ফলে ১৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে একাদশ স্থানে লাল-হলুদ। ১১ জানুয়ারি ডার্বি। তার আগে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে জয়কেই পাখির চোখ করেছিলেন অস্কার। কিন্তু হিজাজির ভুলে ১ পয়েন্টও ফেলে এল ইস্টবেঙ্গল।

প্রথমার্ধ দেখে দ্বিতীয়ার্ধ বোঝা যাবে না , যে এরকমভাবে কামব্যাক করবে ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধে রক্ষ্ণের ভুলেই দু’গোল হজম করে লাল-হলুদ। রক্ষণে আনোয়ার আলি না খেললে কী হয় সেটা যেন বার বার টের পেল ইস্টবেঙ্গল। এদিন প্রথম হাফে রক্ষণের মাঝে হিজাজি এবং হেক্টর ইয়ুস্তেকে রেখেছিলেন অস্কার। কিন্তু দু’জনের মধ্যে যে এখনও বোঝাপড়ার অভাব রয়েছে তা প্রমাণিত। ইস্টবেঙ্গল দু’টি গোলই খেয়েছে এই দু’জনের ভুলে। মাচের ৩৯ মিনিটে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় মুম্বই। ব্র্যান্ডনের সাজানো বল থেকে গোল করে গেলেন ছাংতে। এর ঠিক পাঁচ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোল। মুম্বইয়ের হয়ে ২-০ করেন নিকোস কারেলিস। মাঝমাঠ থেকে নির্বিষ একটি বল ঢুকে পড়ে লাল-হলুদের রক্ষণে। ইউস্তে দৌড়েও পৌঁছতে পারেননি। এগিয়ে এসে প্রথমে প্রভসুখন গিল আটকে দিলেও, ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দেন কারেলিস। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকে ব্রুজোর দল।

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় লাল-হলুদ। সঙ্গে কিছু পরিবর্তন করেন ব্রুজো। প্রভাত লাকরাকে তুলে নিশু কুমার এবং নন্দকুমারকে তুলে নাওরেম মহেশকে নামন তিনি। ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ প্রাণ ফিরে পায়। পাশাপাশি আনোয়ারকে রক্ষণে ফিরিয়ে হেক্টরকে উপরে তুলে আনেন অস্কার। আর ব্যাস। ঘুরে যায় খেলা। দ্বিতীয়ার্ধে মুহুর্মুহু আক্রমণ করতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। যার ফলে ম্যাচের ৬৬ মিনিটে ১-২ গোল করে লাল-হলুদ। আত্মঘাতি গোলে ১-২ হয় ইস্টবেঙ্গলের। মহেশের শট মুম্বইয়ের গোলকিপার বাঁচানোর পরও বল বিপদমুক্ত হয়নি। ফিরতি বল সাহিল পানওয়ারের পায়ে লেগে আত্মঘাতী গোল হয়ে যায়। এরপর তেড়ে ফুড়ে ওঠে ব্রুজোর দল। যার ফলে ৮৩ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে সমতায় ফেরান পরিবর্ত নামা ডেভিড। বক্সের মধ্যে ভেসে আসা বল বাঁ পায়ের প্লেসিংয়ে জালে জড়িয়ে দিলেন তিনি। এরপরই যখন জমে ওঠে লড়াই , ঠিক তখনই হিজাজির ভুলে ৩-২ গোলে পিছিয়ে যায় লাল-হলুদ। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে মুম্বইকে গোল করে এগিয়ে দেন কারেলিস। এরপর আক্রমণে গেলেও গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি লাল-হলুদ।

আরও পড়ুন- ভারত অধিনায়ককে কটাক্ষ প্রাক্তন অজি ক্রিকেটারের, বললেন কমেডিয়ান হিসাবে ভবিষ্যৎ আছে রোহিতের