তারা মৎস্যজীবী। বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার হবেন ভাবেননি ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। বছর ষাটের গুণমণি দাস তার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে রীতিমতো কেঁদে ভাসিয়েছেন। তাকে ডুবিয়ে মারার অভিযোগ বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে।
অন্যান্য মৎস্যজীবীদেরও অকথ্য অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।দেশে ফেরা ভারতীয় মৎস্যজীবীদের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থেকে ট্রলারে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন মৎস্যজীবী গুণমণি দাস। ৬টি ট্রলারে মোট ৯৫ জন রওনা দেন মাছ শিকার করতে। দু’মাস পরে গুণমণি দাস ছাড়া ঘরে ফিরেছেন সকলে।
ফিরে আসা মৎস্যজীবীর দাবি, ১৬ অক্টোবর মাঝ সমুদ্রে বিকল হয়ে যায় ট্রলারের ইঞ্জিন। সেই সময়ে সীমান্ত পার করছিলেন তারা। চরম বিপদের মুখে পড়েন সকলে। বাংলাদেশের কোস্টগার্ড দেখতে পেয়ে সজোরে ধাক্কা মারে গুণমণি দাসের ট্রলারে। ট্রলার থেকে ছিটকে সমুদ্রে পড়ে যান ৫ মৎস্যজীবী।
৪ জনকে উদ্ধার করা হলেও গুণমণিকে তুলতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে গুণমণিকে ডুবিয়ে খুনের অভিযোগ তুলেছেন ফিরে আসা এক ভারতীয় মৎস্যজীবী। তার আরও অভিযোগ, আটক হওয়া ভারতীয় মৎস্যজীবীদের উপর নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে। হাত-পা বেঁধে নিরীহ মৎস্যজীবীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। আঘাতের জেরে দেহের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত রয়েছে মৎস্যজীবীদের। আহত ২২ জন মৎস্যজীবীর চিকিৎসা হয় কাকদ্বীপ সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে।
–
–
–
–
–
–