বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে সব রকম ভাবে চাপের মুখে রাখতে তৎপর মহম্মদ ইউনূসের (Mohammed Yunus) প্রশাসন। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় হাসিনার পাশাপাশি তাঁর পরিবারের একাধিক ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের হয়েছে বাংলাদেশের আদালতে। তার মধ্যে রয়েছেন হাসিনার বোনঝি টিউলিপ সিদ্দিক (Tulip Siddiq)। তিনি ইংল্যান্ডের (England)অর্থ বিষয়ক মন্ত্রী। ইংল্যান্ড প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগে ক্লিনচিট (clean chit) দেওয়ার পরই পদত্যাগ করলেন টিউলিপ।

একদিকে যখন বাংলাদেশে একের পর এক সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় সরব হয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট, তখনই বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ও তাঁর দল আওয়ামী লিগের (Awami League) বিরুদ্ধেও চোরা স্রোত বইছে ইংল্যান্ডে। তারই প্রমাণ টিউলিপের এই পদত্যাগ।

ইউনূস প্রশাসনের অভিযোগ, দেশের অর্থনীতিতে দুর্নীতি করে সেই টাকা শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) পাচার করেছিলেন বোনঝি টিউলিপ সিদ্দিকের (Tulip Siddiq) অ্যাকাউন্টেও। তাতেই সম্পত্তি বাড়িয়েছে হাসিনার বোনঝি। বাংলাদেশের আদালতে এই ধরনের অভিযোগ ওঠার পরই ইংল্যান্ড প্রশাসনের প্রশ্নের মুখে পড়েন টিউলিপ সিদ্দিক। তাঁর সম্পত্তি, বাসস্থান নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে ইংল্যান্ড প্রশাসন। আর সেই তদন্তে টিউলিপের সম্পত্তিতে কোন কারচুপি নেই বলেই জানানো হয়।

এরপরেই বুধবার প্রধানমন্ত্রীকে কিয়ের স্টার্মারকে (Kier Starmer) পদত্যাগপত্র (resignation) পেশ করেন অর্থ বিষয়ক মন্ত্রী সিদ্দিক। পদত্যাগপত্রে তিনি জানান, স্টার্মার প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদ থেকে তাঁর উপর চাপ না থাকলেও তিনি স্বেচ্ছায় মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেন। কার্যত ইংল্যান্ডে টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত ও সসম্মানে তার পদত্যাগ খানিকটা ব্যাকফুটে ঠেলে দিল ইউনূস প্রশাসনের আনা অভিযোগকেই।


–

–

–

–

–

–

–
