মিনার্ভার উদ্যোগে সপ্তম জাতীয় নাট্য উৎসব, নানা ভাষার থিয়েটার নিয়ে আশাবাদী ব্রাত্য

নাট্য সংস্কৃতি চর্চার প্রসারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) অভাবনীয় উদ্যোগ। এবার শহরের বুকে দেশের নানা প্রান্তের নানা ভাষার নাটক দেখার আনন্দ। মিনার্ভা নাট্য সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের আয়োজনে শুরু হতে চলেছে সপ্তম জাতীয় নাট্য উৎসব (7th National Theatre Festival)। আগামী ১৮ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল। মধুসূদন মঞ্চ এবং গিরিশ মঞ্চে বিনামূল্যে নাটক দেখার সুযোগ থাকছে। বুধবার অবনীন্দ্র সভাঘরে (Abanindra Sabhaghar) এই নাট্যোৎসবের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মিনার্ভা নাট্য সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি তথা রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu), মিনার্ভার সহ-সভাপতি অর্পিতা ঘোষ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নাট্যমেলার অন্যতম উদ্বোধক হর ভট্টাচার্য, অভিনেত্রী সেঁজুতি মুখোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ নাট্যমেলা এবং মিনার্ভা নাট্য সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের সপ্তম জাতীয় নাট্য উৎসবের (7th National Theatre Festival) অন্যতম দুই সংযোজক বিজয় মুখোপাধ্যায়, অনীশ ঘোষ-সহ অন্যান্য বিশিষ্টরা।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের অন্তর্গত মিনার্ভা বরাবরই নাটকের প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। সপ্তম জাতীয় নাট্য উৎসব প্রসঙ্গে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের অন্যতম সমৃদ্ধশালী রেপার্টরি মিনার্ভা নাট্য সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ২০১৫ সাল থেকে এই জাতীয় নাট্য উৎসবের যাত্রা শুরু করে। à§§à§® জানুয়ারি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এবারের জাতীয় নাট্য উৎসবের সূচনা হবে। মোট ১৭টি নাট্য দল অংশগ্রহণ করছে যার মধ্যে ভিন রাজ্য থেকে ১০টি এবং এরাজ্যের ৭টি নাটকের দল থাকবে। এই উৎসবে যেসব নাটক দেখানো হবে সেগুলো অন্যান্য নাট্যের থেকে অনেকটাই স্বতন্ত্র। কারণ, বিশেষ জুরি বোর্ডের মাধ্যমে নাট্য দলগুলিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই নির্বাচন পর্বের পদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকারের অধীনস্থ মিনার্ভা নাট্য সংস্কৃতি কেন্দ্র প্রখ্যাত নাট্য ব্যক্তিদের নিয়ে ১০ জনের একটি নির্বাচক মন্ডলী তৈরি করে। তাঁরাই স্ক্রিনিং-এর মাধ্যমে ১৭টি নাট্যদলকে বেছে নিয়েছেন। মধুসূদন মঞ্চে উৎসবের উদ্বোধনী নাটক হিসেবে থাকছে বিহারের নাট্য দলের পরিবেশনায় ‘স্মল টাউন জিন্দেগি’। এবছর পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ,অসম, দিল্লি, কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্রের নাটক দেখার সুযোগ থাকছে। এই উৎসবের মোট ব্যয় বরাদ্দ আনুমানিক ৮০ লক্ষ টাকা। বাংলার পাশাপাশি হিন্দি, অসমিয়া, কন্নড়-সহ বিভিন্ন ভাষার নাটক নিয়ে সাজানো এই উৎসব ঘিরে আশাবাদী নাট্যকার। তিনি জানান, যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার রাজ্যের জেলায় জেলায় নাটকের প্রসারে সাহায্য করেছে, উৎসাহ দেখিয়েছে তা নিঃসন্দেহে সাধুবাদ যোগ্য। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ছাড়া দেশের আর কোনও রাজ্যের তরফে সরকারিভাবে এই ধরনের থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল হয় না। এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকেই নাটক-প্রেমী সংস্কৃতিমনস্কদের সপ্তম জাতীয় নাট্য উৎসবে আসার আমন্ত্রণ জানান ব্রাত্য বসু।