মালদহের কালিয়াচকে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু গুলিতে (bullet injury) হয়নি, ময়নাতদন্তের পরে দাবি মালদহ পুলিশের (Maldah district police)। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ প্রকাশ না করা হলেও সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV footage) দেখে ঘটনায় এক মূল অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে মালদহ পুলিশ। আরও পাঁচ অপরাধীর এখনও খোঁজ চলছে। সেই তদন্তে বুধবার ঘটনাস্থলে যায় ডগ স্কোয়াড (dog squad), চালানো হয় তল্লাশি।

মঙ্গলবার মালদহের (Maldah) কালিয়াচকের নওদা যদুপুরের মোমিনপাড়ায় সংঘর্ষ ও শুট আউটের ঘটনায় মৃত্যু হয় আতাউর শেখ ওরফে হাসা শেখ নামে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর। গুরুতর আহত অবস্থায় যদুপুর এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ ও এহসারুদ্দিন শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে (Maldah Medical College and Hospital) ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার যে ভিডিও ভাইরাল (ভাইরাল ভিডিও সত্যতা বিশ্ববাংলা সংবাদ যাচাই করেনি) হয় সেখানে একদল দুষ্কৃতীকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে হামলা চালাতে দেখা যায়। আহত তিন তৃণমূল পদাধিকারীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাতও করা হয়।

ঘটনার পরই অপরাধীদের খোঁজে তল্লাশিতে নামে মালদহ পুলিশ। প্রাথমিকভাবে আটক করা হয় দশজনকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল অপরাধীদের খোঁজ শুরু হয়। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ (video footage) দেখে ছয়জনকে মূল অপরাধী (main culprit) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। বুধবার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে এক মূল অপরাধী হামজা আমির শেখকে গ্রেফতার করে মালদহ পুলিশ।

মুর্শিদাবাদের ডগ স্কোয়াডের (dog squad) প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে বুধবার ঘটনাস্থল সহ আশপাশের এলাকায় এদিন তন্নতন্ন করে তল্লাশি অভিযান চালায়। এছাড়াও তদন্তকারি আধিকারিকেরা স্থানীয় মানুষদের সাথে কথা বলে তদন্তে জট খোলার চেষ্টা করেন। এলাকার পরিস্থিতি ছিল থমথমে। এলাকায় চালানো হয় পুলিশি টহলদারি। অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা জাকির শেখ সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।


–


–

–

–

–

–

–
