দায়সারা কাজ বরদাস্ত নয়, প্রকল্পের জন্য টাকা চাইলেই ব্যবস্থা: আধিকারিকদের কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

দায়সারা কাজ, দীর্ঘসূত্রিতা বরদাস্ত করা হবে না। বুধবার আলিপুরদুয়ারের (Alipurduwar) প্রশাসনিক সভা থেকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একই সঙ্গে তিনি সাফ জানান, সরকারি প্রকল্প পেতে কাউকে কোনও টাকা দিতে হবে না। কেউ টাকা চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও খবর: সঞ্জয়ের যাবজ্জীবনের রায়কে চ্যালেঞ্জ, রাজ্যের ব্যাখ্যায় সম্মতি হাইকোর্টের

এদিন সরকারি পরিষেবা প্রদানের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রত্যেকটা কাজের নজরদারি হচ্ছে। ভাববেন না, কলকাতা থেকে আলিপুর দুয়ারের খুব দূরত্ব বেশি। এক সেকেন্ডে যোগাযোগ করা যায়। সমন্বয় পোর্টালের (Portal) মাধ্যমে আমরা প্রত্যেকটা কাজের  নজরদারি করি।” এর পরেই কঠোর বার্তা দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। উপস্থিত সরকারি আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের সামনে তিনি বলেন, “গভর্মেন্ট প্রকল্পের জন্য কাউকে এক পয়সা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। পরিষ্কার বলছি- কমপ্লেন এলে অ্যাকশন নেব। এফআইআর করা হবে।”

সরকারি কাজে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ তুলে উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। রীতিমতো খতিয়ান হাতে নিয়ে তিনি বলেন, ৪৪১টি প্রকল্পের মধ্যে ৩০৩ টি শেষ হয়েছে। ১০৮টি প্রকল্পের কাজ সময়ে শেষ হয়নি। ৩০টি প্রকল্প ১ থেকে ৩ বছরের মধ্যে শেষ হয়নি। এরমধ্যে উদাহরণস্বরূপ জয়গাঁ পানীয় জল, কুমারগ্রাম পানীয় জল প্রকল্পের উল্লেখ করেন মমতা (Mamata Banerjee)। প্রশ্ন তোলেন, “কেন মানুষের উন্নয়নের কাজ সময়ে শেষ হল না? কে দায়ী? কার গাফিলতিতে এগুলো সময়ে শেষ হল না?” সময়ের মধ্যে কাজ শেষে করার নির্দেশ দেন তিনি। স্পষ্ট জানান, সরকারি কাজে ফাঁকিবাজি বরদাস্ত করা হবে না।

বুধবার মালদহর পরে এদিন আলিপুরদুয়ারের সভা থেকেও মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের উদাহরণ তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “মুখ্যসচিব যদি একদিন জেলায় এসে পাঁচ, ছ’টা জায়গায় যেতে পারেন তাহলে বিডিওরা পারবেন না কেন?”

সময়ে কাজ শেষ করতে কোনও গাফিলতি হলে, সেটাও বরদাস্ত করা হবে না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “মানুষের কাজে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করব না। কোয়ালিটি কাজ চাই। মনে রাখবেন, আপনারা কাজ করার পর আমরা কিন্তু থার্ড পার্টিকে দিয়ে ভেরিফিকেশন করিয়ে থাকি।”  অর্থবর্ষের কাজ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।