Thursday, November 13, 2025

আর জি কর কাণ্ড: অভিভাবকরাও কেন প্ররোচনায় পা দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছেন!

Date:

সোমবার সঞ্জয় রাইয়ের সাজা ঘোষণার পরে আরজি করের মৃত পড়ুয়ার অভিভাবক যা বলেছিলেন, মঙ্গলবার একেবারে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন। দাবি, আরজি কর মামলায় তথ্য-প্রমাণ লোপাট করেছেন নাকি মুখ্যমন্ত্রী! অবাক কাণ্ড। দুর্ভাগ্যজনক এবং বিস্ময়কর। কাদের প্ররোচনায় এসব কথা বলছেন? কারা তাঁদের দিয়ে এ-কথা বলাচ্ছেন! তাঁরা শোকাহত আমরা জানি, পূর্ণ সহানুভূতিও আছে। কিন্তু তা বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জড়িয়ে এমন অর্বাচীনের মতো অভিযোগ?

যাঁরা বলছেন, আরজি করে পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় তথ্য-প্রমাণ লোপাট হয়েছে, তাঁরা সত্যের অপলাপ করছেন, জেনেশুনে মিথ্যাচার করছেন। বিচারক ১৮ জানুয়ারি অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে দোষী সাব্যস্ত করেন। ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণে বলপ্রয়োগ করে খুন এবং ১০৩ (১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন সঞ্জয় রাইকে। যুক্তি বলছে, সঞ্জয় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই। বিচারক অনির্বাণ দাস রায় দিতে গিয়েও এই তিনটি ধারার কথাই উল্লেখ করে বলেছেন, তথ্য প্রমাণ বলছে ধর্ষণ করে খুনের পিছনে রয়েছে একমাত্র সঞ্জয় রাই। যারা মিথ্যাচার করছেন তারা তো বিচারককেই চ্যালেঞ্জ করছেন। এরাই এক সময়ে সিআইডি তদন্তের বদলে সিবিআই চেয়েছিল। এখন আবার অন্য সিবিআই তদন্ত চাই বলে আওয়াজ তুলেছে। বিচার নয়, অস্থিরতা ও বিভ্রান্তি তৈরিই এদের আসল উদ্দেশ্য।

প্রশ্ন উঠেছে যাবজ্জীবন সাজা নিয়ে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী প্রথম ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন। যে তিন ধারায় সঞ্জয় অভিযুক্ত হয়েছে, তাতে সর্বনিম্ন শাস্তি যাবজ্জীবন, এবং সর্বোচ্চ ফাঁসি। এবার বিচারক কোন শাস্তি দেবেন, এটা যেমন বিচারকের এক্তিয়ার, তেমনি সিবিআই কীভাবে কতখানি যুক্তি দিয়ে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছে, সেটাই বিবেচ্য। গুড়াপ, ফরাক্কা, মাটিগাড়া ও কুলতলিতে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় পুলিশ ও আইনজীবীদের যুক্তির জোরাল আবেদনে ফাঁসির আদেশ হয়েছে। এখানে সিবিআই কেন পারল না তার বিশ্লেষণ হোক। কিন্তু কুৎসা কেন হবে?

বিচারক অনির্বাণ দাস যাবজ্জীবন বেছে নিয়েছেন। বাংলার মানুষের পছন্দ হয়নি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও এই রায়ে অসন্তুষ্ট। আর সেই কারণেই রাজ্য সরকার হাই কোর্টের ডিভিসন বেঞ্চে গিয়েছে সকলের আগে। অন্যরাও যেতে পারেন। সেটা না করে কেন বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নতুন করে তথ্য প্রমাণ লোপাটের গল্প ছাড়তে শুরু করেছেন? ১৬৪ দিন ধরে বারবার মৃতার অভিভাবকরা বয়ান বদল করেছেন। এবার কিন্তু বিষয়টা আর সংবেদনশীলতার পর্যায়ে থাকছে না। সন্তান হারানোর বেদনার জায়গা থেকে ব্যক্তিকে কালিমালিপ্ত করাটা অভিপ্রেত নয়, সৌজন্যও নয়, বিচার পাওয়ার যৌক্তিক পথও নয়।

আরও পড়ুন – রাস্তায় ফেলে মারধরের অপমানে সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী মহিলা! পলাতক বিজেপি কর্মী

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

Related articles

“রিচার নামে স্টেডিয়াম ইতিহাস হয়ে থাকবে”, উচ্ছ্বসিত ঝুলন

শিলিগুড়িতে রিচা ঘোষের(Richa Ghosh)  নামে স্টেডিয়াম হচ্ছে শিলিগুড়িতে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের নামে...

‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-র ট্রেলার-পোস্টার লঞ্চে ‘বাবা-মেয়ে’র রসায়নে চিরঞ্জিৎ-রুক্মিণী

অর্ণব মিদ্যার ছবি 'হাঁটি হাঁটি পা পা'-র ট্রেলার ও পোস্টার লঞ্চের জমজমাট অনুষ্ঠান হল ফ্লোটেলে। বৃদ্ধ বাবা ও...

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...
Exit mobile version