ফের শহরে মহিলার রহস্যমৃত্যু। ঠাকুরপুকুরের (Thakurpukur) অভিজাত আবাসন ডায়মন্ড পার্কের ফ্ল্যাট থেকে মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। ১৭ জানুয়ারি ওই আবাসনে ভাড়া আসেন তিনি। খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা। বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ (Police)।
পুলিশ সূত্ৰে খবর, মহিলার বয়স আনুমানিক চৌত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ হবে। তাঁর গায়ে একাধিক ধারাল অস্ত্রের কোপ রয়েছে। গোটা এলাকা আপাতত ঘিরে রেখেছে পুলিশ (Police)। ঘটনাস্থলে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা যান। তিনি কোন দালালের সূত্রে এই বাড়িতে ভাড়া এসেছেন কিনা সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। মহিলার পরিচয় জানতে পারলে খুনের মোটিভ অনেকটাই স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মহিলা বাড়িতে একা থাকতেন। প্রথম তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় কে দেখতে পান, সেটাও জানা যায়নি। স্থানীয়রা জানান, এলাকা ক্রমশ এত বড় হয়ে গিয়েছে, কে কখন কোথায় ভাড়া আসছে, কোথায় যাচ্ছে কেউই নজরে রাখে না। মহিলাকে ভাড়ার খোঁজ যিনি দেন তিনি জানিয়ছেন তিনি লন্ড্রির কাজ করেন। ১৭ তারিখ তাঁকে নিয়ে আসেন। তার দোকানের সামনেই ওরা জিজ্ঞাসা করছিল এই এলাকায় কোথাও কোন ঘর খালি রয়েছে কি না। বাড়ির মালিক সে সময়ে দোকানেই ছিলেন। তিনি জানান, তাঁর বাড়ি খালি রয়েছে। মহিলা জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী আছেন এবং পরে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই এসেছিলেন। আধার কার্ড দেখিয়েছিলেন। মহিলা জানিয়ে ছিলেন তিনি নাকি ইএসআই হাসপাতালে আয়ার কাজ করেন।
ঘটনার দিন বাড়ির মালিকের থেকে খবর পেয়ে লন্ড্রিতে কর্মরত ব্যক্তি এসে দেখেন মহিলার মাথার পিছন থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল। মেঝেতে পড়েছিল নিথর দেহ। কিন্তু মহিলার স্বামী ঘটনাস্থলে ছিলেন না। স্বামী থাকতেও উনি একা কেন থাকতেন বা স্বামীর উপস্থিতি প্রথম থেকে থাকলেও পরে কেন তিনি উধাও সেই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
–
–
–
–
–
–
–