আমেরিকার টাকায় সব প্রকল্প বন্ধ! ট্রাম্পের নির্দেশ ইউনূসের বাংলাদেশে

সেপ্টেম্বরে আমেরিকা বাংলাদেশকে ২০২ মিলিয়ন ডলার ($ 202m) সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বাইডেন জমানার সেই সাহায্য পৌঁছানোর আগেই দাড়ি টেনে দিলেন ট্রাম্প (Donald Trump)

একদিকে প্রবল অর্থনৈতিক অবক্ষয় থেকে বেরিয়ে আসার কোনও পদক্ষেপই নিচ্ছে না সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের পন্থায় চলা বাংলাদেশ (Bangladesh)। অন্যদিকে যেভাবে আমেরিকার আর্থিক সহযোগিতায় ভারতের উপর আস্ফালন করে চলেছিলেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক থেকে সামরিক নেতারা, তাতে সপাটে চড় কষালো ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসন। এই মুহূর্তে আমেরিকার টাকায় চলা বাংলাদেশের যাবতীয় প্রকল্প থামিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। এমনকি আমেরিকা (USA) থেকে ফের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত যেন সেই সব প্রকল্প থেমে থাকে তারও নির্দেশ দেওয়া হল।

আমেরিকার থেকে নিরাপত্তা, শিল্পক্ষেত্র, রোহিঙ্গা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে বিরাট অঙ্কের আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকে বাংলাদেশে। মহম্মদ ইউনূসের (Mohammed Yunus) সরকার বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর দেশের ভগ্নপ্রায় অর্থনীতিকে আবার খাঁড়া করার জন্য পাঁচ বিলিয়ন ডলার ($ 5bn) আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়েছিল আমেরিকার কাছে। সেইসঙ্গে সেপ্টেম্বরে আমেরিকা বাংলাদেশকে ২০২ মিলিয়ন ডলার ($ 202m) সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বাইডেন জমানার সেই সাহায্য পৌঁছানোর আগেই দাড়ি টেনে দিলেন ট্রাম্প (Donald Trump)। সেই সঙ্গে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে পাঁচ বিলিয়ন ডলারও ইউনূস (Mohammed Yunus) পাবেন কিনা, রয়ে গেল সন্দেহ।

ক্ষমতায় এসেই খয়রাতিতে পুরোপুরি দাড়ি টেনেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গোটা বিশ্বে সব ধরনের অর্থনৈতিক সাহায্য থেকে সামরিক সাহায্যে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছ। নির্দেশ জারির ৮৪ দিন পর্যন্ত আমেরিকার টাকায় বিভিন্ন দেশে চলা সব প্রকল্প থামিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাদ রয়েছে শুধু মিশর ও ইসরাইলকে সামরিক ও মানবিক সাহায্যের দিকগুলি। বাংলাদেশ যে আমেরিকার সেই সুনজরে নেই সেটাও স্পষ্ট হয়ে গেল নির্দেশিকায়।

ট্রাম্পের এই নির্দেশ জারির পরে শনিবারই আমেরিকার খয়রাতিতে চলা বাংলাদেশের সব প্রকল্প বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হল। ইউএসএইড (USAID) প্রকল্পে ২০২১ থেকে ২৬ এর মধ্যে ৯৫৪ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে সাহায্য করার যে চুক্তি হয়েছিল তা কার্যত থমকে গেল। মহম্মদ ইউনূস (Mohammed Yunus) ক্ষমতায় আসার পরে বাংলাদেশে চলা সাম্প্রদায়িক হিংসা যে ভালো চোখে দেখেনি ট্রাম্প সেটা আগেই ব্যক্ত করেছিলেন ট্রাম্পের প্রতিনিধিরা। অর্থনৈতিক সাহায্য বন্ধে আমেরিকা-বাংলাদেশ সম্পর্ক ভবিষ্যতে কোন খাতে বইবে তাও খানিকটা প্রমাণ হয়ে গেল।