ছাত্র সংঘর্ষে সরগরম বাংলাদেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত

বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত ক্লাস এবং পরীক্ষা স্থগিত করেছে প্রশাসন

বাংলাদেশে ফের ছাত্র আন্দোলন। রবিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার অধীনে থাকা ৭টি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রীতিমতো সরগরম বাংলাদেশের রাজধানী। এ ঘটনায় সোমবার সকাল ৯টা থেকে ঢাকা শহর অবরোধের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশের ৭টি কলেজের পড়ুয়ারা।

জানা গিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা সাতটি কলেজের পড়ুয়া ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রবিবার রাতে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বাধে। সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দে কেঁপে ওঠে ঢাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশের বড় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এই সংঘর্ষের জেরে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত ক্লাস এবং পরীক্ষা স্থগিত করেছে প্রশাসন।

জানা গিয়েছে, একাধিক দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যান বেশ কয়েকটি কলেজের ছাত্ররা। সেই সময় উপাচার্য তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। এরপরেই ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ শুরু করে দেন পড়ুয়ারা। শুধু তাই নয়, এই কর্মসূচিতে কয়েকশ আরও ছাত্র যোগ দেয় এবং সবাই মিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের দিকে মিছিল শুরু করে।

এ দিন সকালে ৭টি কলেজের পড়ুয়ারা সাংবাদিক বৈঠক করে জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ইস্তফা দিতে হবে। এছাড়া গতকালের হামলার জন্য নিউমার্কেট থানা এলাকার ওসি, এসি সহ আধিকারিকদের কাজ থেকে বরখাস্ত করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাই-অগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন হয়েছিল এবং মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছিল। কিন্তু যত সময় এগোচ্ছে, ততই ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ বেড়ে চলেছে।