Saturday, May 3, 2025

ধারই যেন মোদি জমানার সচল অর্থনীতি। একদিকে উৎপাদন ক্ষেত্র মোদির নিজের তৈরি করা লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছেও পৌঁছাতে পারলেন না নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। দেশে যখন আয় ও ব্যয়ের ফারাক ক্রমশ বেড়ে চলেছে, সেই সময় সাধারণের মন রাখতে ফের রাজস্ব ঘাটতি (fiscal deficit) কমানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু প্রশ্ন কীভাবে কমবে সেই ঘাটতি? নির্মলার উত্তর, ফের বাড়ানো হবে ধার। সেখানেই বাংলার শাসকদলের তোপ, তাহলে যে উৎপাদন (manufacturing) বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি, কোথায় গেল সেই উৎপাদন। কেন রাজস্বের ঘাটতি মেটাতে ফের বাড়ানো হচ্ছে ধারের (borrowing) পরিমাণ।

ভারতের অর্থনীতি ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। শনিবার বাজেট (Union Budget 2025-26) পেশ করতে গিয়ে প্রথমেই দেশের অর্থনীতির গুণগান গাইতে শুরু করেন নির্মলা সীতারমন। তবে গোটা বক্তৃতার শেষে গিয়ে প্রকাশ্যে আসে ভারতের অর্থনীতির আসল চেহারা, যেখানে সীতারমন বলেন ভারতের রাজস্ব ঘাটতি (fiscal deficit) ২০২৫ অর্থবর্ষে ছিল ডিজিপির (GDP) ৪.৮ শতাংশ। এই মাত্রা প্রত্যাশিত ছিল ৪.৯ শতাংশ। কার্যত ০.১ শতাংশ উন্নতির কথা শুনিয়ে পিঠ চাপড়ানি আদায় করার চেষ্টা করেন তিনি।

২০২৬ বর্ষে রাজস্বের ঘাটতি কমিয়ে ডিজিপির ৪.৪ শতাংশ করার প্রতিশ্রুতি দিলেন নির্মলা সীতারমন। তবে এই সামান্য ঘাটতি কমাতে ধারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ২০২৫ অর্থবর্ষে যেখানে ধারের (borrowing) পরিমাণ ১৪.০১ লক্ষ কোটি ছিল, সেখানে ২০২৬ অর্থবর্ষে তা বাড়িয়ে ধার নেওয়া হবে ১৪.৮২ লক্ষ কোটি।

স্বাভাবিকভাবেই সেই ধারের বোঝা দেশের মানুষের উপর চাপিয়েই ‘আচ্ছে দিন’এর বুলি আওড়াবেন মোদি-নির্মলা। সেখানেই মানুষের ভুল ভাঙলেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা অর্থ উপদেষ্টা অমিত মিত্র (Amit Mitra)। তিনি স্পষ্ট তুলে ধরেন, রাজস্ব ঘাটতি (fiscal deficit) মেটাতে মোদি ধার করতে চলেছেন প্রায় ১৫ লক্ষ কোটি। যার ফলে দেশের ধারের পরিমাণ আরও বাড়বে। সবশেষে সাধারণ মানুষ ও যুব সম্প্রদায়ের জন্য এই বাজেটে কিছু নেই।

অথচ এই নরেন্দ্র মোদিই (Narendra Modi) এমন স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন যাতে বাস্তবে হাওয়ায় কাঁচের রাজপ্রাসাদ তৈরি করেছিল ভারতের যুবসমাজ। রাজকোষের দৈন্যের তুলনায় মোদির সেই প্রতিশ্রুতি মনে করিয়ে অমিত মিত্রর প্রশ্ন, সমীক্ষা স্পষ্ট বলছে উৎপাদন কমছে। প্রশ্ন হল, উৎপাদন (manufacturing) জিডিপির মাত্র ১৫ শতাংশ। মোদি নিজে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন উৎপাদন পৌঁছে যাবে জিডিপির ২৫ শতাংশে। কিন্তু বাজেটে কোথায় উৎপাদন বাড়ানোর কথা? যদি দেশের উৎপাদন ক্ষমতা না বাড়বে তবে স্বাভাবিকভাবেই বিকাশ (growth) থমকেই যাবে। ঠিক সেভাবেই ভারতের বিকাশ মুখ থুবড়ে পড়েছে।

Related articles

হাই মাদ্রাসা-আলিম-ফাজিল পরীক্ষায় পাশের হার ৯০.৩২ শতাংশ

পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল ঘোষণার পরের দিনে হাই মাদ্রাসা বোর্ডের (High Madrasah Examination 2025 results) ফলাফল...

ডবল ইঞ্জিন রাজ্যেই প্রশাসনিক ব্যর্থতা! গোয়ায় পদপিষ্টের ঘটনায় তোপ অভিষেকের

বারবার বিজেপির ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতেই প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে মৃত্যু মিছিল। অথচ বাংলায় কিছু হলেই সেই দিল্লির বিজেপি নেতারা...

প্রকাশিত হল হাই-মাদ্রাসা-আলিম- ফাজিল পরীক্ষার ফল, শুভেচ্ছা পোস্ট মুখ্যমন্ত্রীর 

মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পরের দিন হাই-মাদ্রাসা, আলিম এবং ফাজিল পরীক্ষার ফলাফল(High Madrasah, Alim and Fazil Result) প্রকাশিত হল।...

শনির সকালেও জম্মু-কাশ্মীরের লাইন অফ কন্ট্রোলে গোলাগুলি পাক সেনার  

পহেলগাম রক্তাক্ত (Pahelgam attack) হওয়ার পর থেকে যেকোনও মুহূর্তে পাকিস্তানের উপর ভারতের প্রত্যাঘাতের সম্ভাবনা যত জোরালো হচ্ছে, ততই...
Exit mobile version