Monday, August 25, 2025

প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক ফোর্ট উইলিয়ামের (Fort William) নাম পরিবর্তন করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কম্যান্ডের সদর দফতর, এই দুর্গের নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘বিজয় দুর্গ’। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি থাকলেও প্রশাসনিক মহলে ইতিমধ্যেই এই পরিবর্তন কার্যকর হয়ে গিয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক উইং কমান্ডার হিমাংশু তিওয়ারি এই মর্মে জানিয়েছেন, গত বছরের ২রা ডিসেম্বর এই ফোর্টের নাম পরিবর্তনের নির্দেশ আসে। সরকারি ঘোষণা হয়নি তবে প্রশাসনিক কাজকর্মে ‘বিজয় দুর্গ’ ব্যবহার করা হচ্ছে। ফোর্ট উইলিয়াম ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দ্বারা নির্মিত একটি দুর্গ। ১৬৯৬ সালের তৈরি এই দুর্গ ব্রিটেনের তৎকালীন রাজা তৃতীয় উইলিয়ামের নামে নামকরণ করা হয়েছিল। বাংলার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার আক্রমণের মুখে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই দুর্গ। ১৭৮১ সালে লর্ড ক্লাইভ দুর্গটি পুনর্নির্মাণ করেন।

ঔপনিবেশিকতার ছাপ মুছে ফেলার জন্যই নাম পরিবর্তন করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার, এই বিষয়টি অনস্বীকার্য। ফোর্ট উইলিয়ামের ভিতরের দুই গুরুত্বপূর্ণ অংশের নামও একইসঙ্গে পরিবর্তন করা হয়েছে। সাউথ গেটটি এখন ‘শিবাজী গেট’ নামে পরিচিত। আগে নাম ছিল ‘সেন্ট জর্জ গেট’। কিচেনার হাউসের নতুন নাম এখন ‘মানেকশ হাউস’। স্বাভাবিকভাবেই ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহনকারী এই নাম পরিবর্তন নিয়ে প্রশাসনিক মহলে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে যদিও বলা হয়েছে দেশে ব্রিটিশ প্রভাব সরিয়ে ফেলার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Related articles

নির্বাচনী মামলা! পাল্টা হলফনামা দিতে নিজেই হাই কোর্টে অভিষেক

নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয়েছিল তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) সাংসদ তথা তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের...

পথ দেখায় বাংলা: মমতার পথেই গণেশপুজোয় অনুদান মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারের!

বাংলা আজ যা ভাবে গোটা ভারত তা ভাবে কাল। এই স্বতঃসিদ্ধ বাক্যটি সম্প্রতি বারবার প্রমাণিত হয়েছে। ফের একবার...

“যেকোনও পুরুষ আমার চেয়ে হেমাকে বেশি পছন্দ করত”, ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে মন্তব্য প্রকাশের

ধর্মেন্দ্র (Dharmendra) এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের (Prakash Kaur) বিয়ে হয় ১৯৫৪ সালে। অভিনেতার বলিউডে অভিষেকের কয়েক...

নিয়োগ মামলা: ইডির তল্লাশি বিধায়কের বাড়ি, আত্মীয়ের বাড়িতে

নির্বাচন এগিয়ে এলেই বিজেপির তার তদন্তকারী সংস্থার অস্ত্রগুলোকে এগিয়ে দিতে থাকে। তদন্তকারী সংস্থা ইডি বা সিবিআই আজ পর্যন্ত...
Exit mobile version