শিয়ালদহ আদালতে (Sealdah Court) আর জি কর খুন ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রাইয়ের যাবজ্জীবন সাজা হওয়ার প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। প্রশ্ন উঠেছিল, সিবিআই (CBI) তদন্ত নিয়ে, যেখানে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে ফাঁসির সাজা থেকে মুক্তি পেয়ে যায় সঞ্জয়। রাজ্য সরকার এই রায়ের পরই ফাঁসির সাজার দাবিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়। কোনওভাবেই যেন সঞ্জয়ের মতো দোষী ছাড় না পেয়ে যায়, তার জন্য সচেষ্ট হয় রাজ্য সরকার। তারই চাপে পরের দিন একই আবেদনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। শুক্রবার সিবিআই-এর মামলা গ্রহণ করে আদালত। আদালতের রায়ে রাজ্যের উদ্দেশ্য সফল, দাবি রাজ্যের শাসকদলের।

ধর্ষণ-খুনের মতো অপরাধে চরম শাস্তি ফাঁসির (capital punishment) পক্ষে সওয়াল করে রাজ্যে অপরাজিতা আইন আনার পথেও এগিয়েছে রাজ্য সরকার। ফলে আর জি করের সাজা ঘোষণায় সঞ্জয় রাইয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ের বিরোধিতা যে রাজ্য সরকার করবে তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অসন্তোষের পরেই স্পষ্ট ছিল। কিন্তু তখনও সিবিআই-এর পক্ষ থেকে শিয়ালদহ আদালতের রায়ের কোনও বিরোধিতার প্রশ্নই ওঠেনি। রাজ্য সরকারের আবেদনের পরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেও তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই হওয়াতেই হাইকোর্ট শিয়ালদহ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জে সিবিআই-এর মামলাকে মান্যতা দেয়।
তবে যে কোনও উপায়েই আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ের চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হওয়া রাজ্যের উদ্দেশ্যেরই জয়, দাবি তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। তিনি জানান, রাজ্যের প্রথম উদ্দেশ্য ছিল মা-বোনেদের কাছে আত্মবিশ্বাস দেওয়া যে রাজ্য সরকার (state government) এই ধরনের পিশাচদের মৃত্যু দণ্ড চান। রাজ্যই প্রথম আবেদন করেছে, সিবিআই করেনি। হাইকোর্টের নির্দেশের পরে বিষয়টা হচ্ছে রাজ্যের চাপে পড়ে যেহেতু তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইও আবেদন করেছে, তখন আদালত তাদেরটি মান্যতা দিয়েছে। পদ্ধতিগত হিসাবে সিবিআই তদন্তকারী সংস্থা হিসাবে মান্যতা পেয়েছে। এখানে রাজ্য কোনও ধাক্কা খায়নি।

–

–

–

–

–

–

–

–
