Thursday, August 28, 2025

আর জি করে PHA-র ব্যানার ছেড়ার অভিযোগ, সিসিটিভি ফুটেজ দেখার দাবি শশী

Date:

তৃণমূলের চিকিৎসা বিষয়ক সংগঠন প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশন। রবিবার রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই সংগঠনের একাধিক পোস্টার ছিঁড়েছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে সোমবার প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা নয়া সংগঠনের নেতা শশী পাঁজা। তাঁর কথায়” পিএইচএ-র যে ব্যানার ছিল আর জি কর হাসপাতালে সেটাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অথবা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ব্যানারটি কোথায় গেল? এই আক্রোশ কেন? এর প্রতিবাদ হবে। ”

শশী পাঁজা জানিয়েছেন” ৭ টি জায়গার মধ্যে পিজেবি যে বিল্ডিংটি রয়েছে সেখানে সেখানে, ডাঃ রাধা গোবিন্দ করের মূর্তির জায়গায়, ট্রমা কেয়ার সেন্টার-সহ একাধিক জায়গায় ব্যানার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাতে যখন এই বিষয়টি জানা গিয়েছিল সেই সময়ই হেলথ ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল সেক্রেটরি, প্রিন্সিপাল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ, ডি ডি নর্থ, টালা পার্ক পুলিশ স্টেশনে, রাজ্য সরকারের গ্রিভান্স রিড্রেসাল কমিটির চেয়ারম্যান ডাঃ সৌরভ দত্তকেও মেইল করে জানানো হয়েছে। ইমেলে দাবি করা হয়েছে, আমরা সিসিটিভি ফুটেজ চাই, কারা এ কাজ করেছেন আমরা জানতে চাইছি। বর্তমানে আন্দোলনকারীদের কাজ কি প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের (পিএইচএ) ব্যানার সরিয়ে দেওয়া? এখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা করেছেন শশী পাঁজা।

তিনি আরও জানান, “দুপুর ১টায় একটি প্রতিনিধি দল আর জি করের প্রিন্সিপালের সঙ্গে বৈঠক করতে। এই দলে থাকবেন প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ডাঃ করবী বড়াল, ডাঃ অতনু বিশ্বাস, ডাঃ সৌরভ কুমার দাস, ডাঃ প্রণয় মাইতি, ডাঃ শ্রীষ চক্রবর্তী, ডাঃ রমিজ আহমেদ। এই পাঁচজন চিকিৎসকই আর জি করে কর্মরত।”

শশী পাঁজা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যে উন্নয়ন করছেন তা যাতে সবার কাছে পৌঁছয়, তার জন্যই মূলত এই সংগঠন। অথচ রাতের অন্ধকারে সংগঠনের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হল। আমরা প্রশাসনের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ দাবি করছি, কারা এই কাণ্ড ঘটাল তা দেখা দরকার।”

হুঁশিয়ারি দিয়ে শশী জানান, “মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের উন্নয়ন করবেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অক্ষুন্ন রাখার চেষ্টা করবেন এদিকে হাসপাতালগুলিতে মানুষ প্রকৃত চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন, এটা বরদাস্ত করা হবে না।”

তার নির্দেশে এদিন সংগঠনের সম্পাদক ডাঃ করবী বড়াল ও পাঁচ চিকিৎসকের এক প্রতিনিধি দল আরজি করে গিয়ে প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকে অভিযোগ জানিয়ে তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ডাঃ অতনু বিশ্বাস, ডাঃ সৌরভকুমার দাস, ডাঃ প্রণয় মাইতি, ডাঃ শ্রীশ চক্রবর্তী, ডাঃ রমিজ আহমেদ। এঁরা সবাই আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত। বেরিয়ে ডাঃ করবী বড়াল বলেন, আমরাই এখন থ্রেট কালচালের শিকার। দেখা দরকার কারা রয়েছে এর নেপথ্যে। গরিব মানুষ যাতে আরও ভাল চিকিৎসা পায়, সেটা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

আরও পড়ুন- একনজরে আজকের পেট্রোল-ডিজেলের দাম

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version