জীবনতলা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বসিরহাট থেকে বেঙ্গল এসটিএফের (Bengal STF) হাতে গ্রেফতার ফারুক মালিক নামে এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, ধৃত হাজি রশিদ মোল্লার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছিলেন ফারুক। এই নিয়ে মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়ালো ৫। ফারুকের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এসটিএফ মনে করছে, উদ্ধার হওয়া কার্তুজগুলো অন্য কোনও লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান থেকে কেনা। ফলে তদন্তকারীদের ধারণা শুধু বিবাদী বাগের (BBD Bag) বিপণি-ই নয়, আরও একাধিক দোকানের যোগ আছে এই অস্ত্র ভাণ্ডারের সঙ্গে। কলকাতার যে দোকান থেকে গুলি পাচার হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে তার মালিককে সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালবাজারে (Kolkata Police) তলব করা হয়েছে বলে খবর।

কার্তুজ কারবারির তদন্তে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। কীভাবে সহজলভ্য হয়ে উঠছে এই কার্তুজ যেখানে লাইসেন্সপ্রাপ্তদের ছাড়া অন্যদের কাছে তা বিক্রি করা যায়না। এমনকি আইন অনুসারে যাঁরা কার্তুজ কিনছেন তাঁদের সব তথ্য জমা রাখতে হয়। কিন্তু প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দাদের অনুমান, কলকাতার একাধিক বৈধ অস্ত্রের দোকান থেকে কার্তুজ অবৈধ ভাবে পাচার হচ্ছে, যা সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে দুষ্কৃতীদের হাতে। ধৃত ফারুকের থেকে যে ১টি অগ্নেয়াস্ত্র ও ৪টি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে তা বিবাদি বাগ থেকে কেনা নয় বলে জানা গিয়েছে। শনিবার বিকেলে সেই আগ্নেয়াস্ত্রের দোকানে তল্লাশি চালায় বেঙ্গল পুলিশের এসটিএফ। সেখানে রেজিস্ট্রারের সঙ্গে স্টক খতিয়ে দেখে জানা যায় মজুত কার্তুজের সঙ্গে স্টকের বিস্তর ফারাক রয়েছে। ফারুকের কাছে যে চারটি কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে সেগুলি ফ্যাক্টরি মেড। সরাসরি ফ্যাক্টরি থেকে পাচার হচ্ছে নাকি অন্য কোনও ভাবে তা চালান হচ্ছে সেটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার ইশ্বরীপুর এলাকায় অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফের বিশেষ টিম।বাড়ির মালিক-সহ আরও তিন ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা হলেন হাসনাবাদের বাসিন্দা বছর চল্লিশের আশিক ইকবাল গাজি, পঁয়তাল্লিশ বছরের আবদুল সেলিম গাজি ও শান্তিপুরের জয়ন্ত দত্ত (ইনি বিবাদী বাগের লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র বিপণিতে কর্মরত)। প্রতি বছর অস্ত্রের দোকানগুলিকে কিছু কার্তুজ পরীক্ষা করার জন্য দেওয়া হয়। সেই কার্তুজই পাচার হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
–

–

–

–

–

–

–

–

–

–
