Sunday, August 24, 2025

মহাকুম্ভে যাতায়াতের খরচ তুলতে ভিক্ষা! পরিবারের দৈনিক আয় ১০০০ টাকা

Date:

মহারাষ্ট্র থেকে মহাকুম্ভে (Mahakumbh) পুণ্য অর্জন করতে এসেছিল একটি পরিবার। মহারাষ্ট্রের আহমদনগর থেকে প্রায় হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে প্রয়াগরাজ (Prayagraj) পৌঁছাতেই পকেট থেকে চলে গিয়েছে চার হাজার টাকার বেশি। সামান্য কৃষক পরিবার এই দুরবস্থার পরে বাধ্য হয়েছে মহাকুম্ভের ঘাটের ধারে ভিক্ষা করতে। কেন্দ্রের সরকার ও ডবল ইঞ্জিন যোগী সরকার গাল ভরা বিজ্ঞাপণ দিয়ে গোটা দেশ থেকে মানুষকে প্রয়াগরাজে আহ্বান জানালেও ট্রেনের ভাড়া (rail fare) সাধারণ মানুষের এতটাই নাগালের বাইরে, যে তার জন্য ভিক্ষাবৃত্তিতেও ভরসা করতে হচ্ছে পুণ্যার্থীদের।

পেশায় আখচাষী (sugarcane farmer) আহমদনগরের ওই পরিবার প্রায় চার হাজার টাকা খরচ করে প্রয়াগরাজে পৌঁছায় মহাকুম্ভে পুণ্য অর্জনের জন্য। কিন্তু তাঁদের যা সম্বল ছিল মহাকুম্ভ (Mahakumbh) আসার পথেই তা খরচ হয়ে যাওয়ায় সঙ্গের বেশ কয়েকটি শিশু নিয়ে সমস্যায় পড়েন তাঁরা। তখনই স্থির করেন মহাকুম্ভের প্রান্তরে ভিক্ষা করার।

প্রতিদিন পরিবারের ৮-১০ জন সেখানে বসে ভিক্ষা (begging) করছেন গত দুদিন ধরে। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে পুণ্যার্থীর ভিড় যখন বেশি থাকে সেই সময়ে বেশ কিছু রোজগারও হয়েছে। কারো পাত্রে ২০ টাকা তো কারো ১০০। এভাবেই দুদিনে প্রায় দুহাজার টাকা রোজগার করেছে পরিবার। তাই দিয়েই পরিবারের শিশুদের মুখে তুলে দিয়েছেন খাবার। আবার অনেক পুণ্যার্থী স্নেহের বসে ভিক্ষাপাত্রে কিছু খাবারও দিয়ে যান।

মহাকুম্ভে (Mahakumbh) পুণ্য অর্জন করতে চেয়েছিল মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) কৃষক পরিবার। কিন্তু যাতায়াতের বিপুল খরচ আর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে প্রয়াগরাজ পৌঁছাতেই শেষ সম্বল। ফলে পুণ্য অর্জন হলেও ঘরে ফিরতে পারছে না পরিবারটি। যত দ্রুত ভিক্ষা সংগ্রহ করে ফেরার পুঁজি জমাতে পারবেন, তত দ্রুত ঘরে ফিরতে পারবেন পরিজন-সন্তানদের নিয়ে।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version